আজকাল ওয়েবডেস্ক: নবরাত্রিতে বারাণসীতে মাংসের দোকান বন্ধ থাকবে। এই প্রথমবার দেশের 'ধর্মীয় রাজধানী'তে নবরাত্রির সময় বন্ধ থাকতে চলেছে মাংস, পোলট্রি এবং মাছের দোকান। বারাণসী পুরসভার মেয়র অশোক কুমার তিওয়ারি বৃহস্পতিবার এই কথা জানিয়েছেন।

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, রবিবার থেকে চৈত্র নবরাত্রি উৎসবের সূচনা হতে চলেছে। ইদের শেষের সময়েউ শুরু হচ্ছে নবরাত্রি। বৃহস্পতিবার পুরসভার কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মেয়রের কঠোর ভাবে সেই নির্দেশ পালন করার আহ্বান জানিয়েছেন। সেই সময় ইদের শেষ জানতে পেরে তিনি বলেন, ''নবরাত্রির সময় মাংসের দোকান বন্ধ রাখার প্রস্তাব কঠোরভাবে প্রয়োগ করা হবে।" তিনি আরও বলেন, ''তাদের (মুসলিমদের) বিবেচনা করা উচিত যে তাঁদের হিন্দু ভাইয়েরা নবরাত্রিকে সবচেয়ে পবিত্র মনে করেন। তাই অন্তত নয় দিনের জন্য, এটি হতে দিন। কেউ কি ৩৬০ দিন তাঁদের বন্ধ রাখতে বলছেন?'' অশোক আরও জানান, বারাণসী দেশের 'ধর্মীয় এবং সংস্কৃতির রাজধানী'। প্রতিদিন প্রায় দুই লক্ষ পুণ্যার্থী বারাণসীতে আসেন। তাঁর বক্তব্য, ''একটি ঐতিহ্য অনুসরণ করা উচিত, এবং এটিকে বলপূর্বক চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে সেই হিসাবে দেখা উচিত নয়।''

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবারের বৈঠকে কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মদন মোহন দুবে নবরাত্রিতে মাংস, মাছ এবং হাঁস-মুরগির দোকান বন্ধ রাখার পরামর্শ দেন। কমিটির আরও পরামর্শ, বিভিন্ন ধর্মীয় স্থান এবং স্কুলের কাছে সিগারেট বিক্রি নিষিদ্ধ করা হোক। 

এই মাসের শুরুতে বারাণসী পুরসভা(ভিএমসি)-র একটি দল অজয় ​​প্রতাপ সিংহের নেতৃত্বে কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের কাছে ২৬টি আমিষ খাবারের দোকান বন্ধ করার জন্য একটি অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানটি নাইসদক এবং বেনিয়াবাগের মতো মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকাতে হয়েছিল। 

মন্দিরের কাছে মাংস ও মদের দোকান বন্ধ করার প্রস্তাবটি আদিবিশ্বেশ্বরের কর্পোরেটর ইন্দ্রেশ কুমার সিং ১৯৫৯ সালের পুর কর্পোরেশন আইনের ৯১ (২) ধারা উদ্ধৃত করে উত্থাপন করেছিলেন। জানুয়ারিতে পুরসভার এক বৈঠকে সময়, কর্পোরেটররা উল্লেখ করেছিলেন যে অযোধ্যা, মথুরা এবং হরিদ্বারের মতো মন্দির শহরগুলিতে দুই থেকে পাঁচ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে কোনও মাংস বা মদের দোকান নেই। সেই প্রস্তাবটি সর্বসম্মতিক্রমে পাস হয়েছিল।