আজকাল ওয়েবডেস্ক: অনেক সময় দেখা যায় মহিলারা নিজেদের ওজন কমাতে পারেন না। দেশের বেশিরভাগ মহিলারা বিয়ের আগে হোক বা পরে নিজেদের ওজন কমাতে গিয়ে হিমসিম খেয়ে যান। দেখা যায় কম খাওয়াদাওয়া করলেও মহিলারা প্রতিদিন ধীরে ধীরে মোটা হয়ে যায়। এটা এমন একটি অস্বস্তি যে সেখান থেকে বেরিয়ে আসা প্রায় অসম্ভব বলেই মনে হয়।

 


মেয়েদের দেহে বেশ কয়েকটি হরমোন থাকে যা তাদেরকে মোটা হতে সহায়তা করে। পাশাপাশি বায়োলজিক্যালভাবেও মেয়েরা এমনভাবে তৈরি হয়ে যায় যে প্রচুর ডায়েট করলেও তারা সেখান থেকে নিজেদের স্লিম ফিগার ফিরিয়ে নিয়ে আসতে পারেন না। প্রেগনেন্সির সময় মেয়েদের দেহ থেকে এমন কয়েকটি হরমোন বের হয় যেগুলি তাদের দেহে অবশিষ্ট থেকে যায়। সেগুলি দেহ থেকে আর বের হতে পারে না। এগুলি দেহে চর্বি তৈরি করতে বিশেষভাবে সাহায্য করে থাকে।

 


মানসিক চাপ, চিন্তা, অন্যের প্রতি দায়িত্ব নিয়ে ভাবনা মহিলাদের পক্ষে মারাত্বক হিসাবে দেখা দেয়। পাশাপাশি যাদের প্রচুর জাঙ্ক ফুড খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে সেই মহিলাদের দেহে অতিরিক্ত চর্বি তৈরি হয়ে যায়। সেগুলি সহজে দেহ থেকে সরে যায় না। 


কর্মস্থলে যারা দিনরাত সময় কাটান বা যারা বাড়িতে বসে মায়ের দায়িত্ব পালন করেন তারা অনেকেই সময় অনুসারে খাবার খেতে পারেন না। ফলে তাদের খিদে ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে। এরপর যখন তারা খাবার খান তখন তাদের সেই খাবার হজম হয় না। ফলে সেখান থেকে দেহে বাড়তি চর্বি তৈরি হয়ে যায়।

 


অনেক সময় দেখা যায় মেয়েরা সঠিকভাবে তৈরি করা খাবার খান না। সামান্য কিছু রান্না করেই তারা সেই খাবার খেয়ে অফিসে চলে যান। এই অনিয়ম তাদের কাছে বিপদ ডেকে আনে। দেহের ওজন বাড়াতে এটি বিশেষভাবে সহায়তা করে। যদিও বর্তমানে অনেক মহিলা জিমে গিয়ে সময় কাটান। তবে তাদের মনে রাখতে হবে যদি জিমে গিয়ে যে মেদ আপনি ঝরিয়ে ফেললেন সেটি যদি ফের জাঙ্ক ফুড খেয়ে ফেরত নিয়ে আসেন তাহলে সেই মেদ ঝরানো একেবারে বিফলে যাবে। দেহকে সঠিক রাখতে হলে আপনাকে ডায়েট চার্ট বজায় রাখতেই হবে। 


মেয়েদের দেহ এমনভাবে তৈরি হয় যেখানে অতিরিক্ত চর্বি তৈরির জায়গা থাকে। এই মেদ তৈরির প্রবণতা ছোটোবেলা থেকে তাদের থাকে। এই পরিস্থিতি ছেলেদের থাকে না বলে তাদের দেহে সহজে মেদ তৈরি হয় না।