আজকাল ওয়েবডেস্ক: বুধবার দিল্লি, নয়ডা ও গুরুগ্রামের মোট আটটি স্থানে এফআইআইটিজেই (FIITJEE)-র সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন ঠিকানায় তল্লাশি চালিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। কোচিং সংস্থাটির মালিক ডি. কে. গোয়েলের বাড়ি ও অফিসেও তল্লাশি হয়।

তদন্তকারীদের দাবি, চলতি বছরের শুরুতে হঠাৎ করে শতাধিক শাখা বন্ধ করে প্রায় ১২,০০০ পড়ুয়ার শিক্ষাজীবন বিপদের মুখে ফেলে দেয় সংস্থাটি, অথচ এই সময়ে সংস্থার কর্তারা প্রায় ১২ কোটি টাকার মুনাফা করেন।

ঘটনার সূত্রপাত জানুয়ারির শেষদিকে, যখন গাজিয়াবাদ, নয়ডা ও গ্রেটার নয়ডার একাধিক এফআইআইটিজেই শাখা হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায়। ইতিমধ্যেই গাজিয়াবাদ, নয়ডা ও গ্রেটার নয়ডায় তিনটি পৃথক এফআইআর দায়ের হয়েছে। নয়ডা পুলিশ ৩০০-রও বেশি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে এবং ৬০ লক্ষ টাকা নগদ বাজেয়াপ্ত করেছে।

ফিয়িটজেই এক বিবৃতিতে দাবি করেছে, এটি তাদের প্রতিষ্ঠানের সিদ্ধান্ত নয়, বরং ম্যানেজিং পার্টনারদের 'মিসম্যানেজমেন্ট ও পালিয়ে যাওয়া'র ফল। পাশাপাশি, তারা প্রতিদ্বন্দ্বী সংস্থার বিরুদ্ধে শিক্ষক টানার অভিযোগও তুলেছে।

অভিযোগগুলোকে ‘স্বার্থান্বেষী মহলের ষড়যন্ত্র’ বলে উড়িয়ে দিয়েছে সংস্থাটি এবং তাদের আইনজীবীরা ‘মিথ্যা মামলার’ বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিচ্ছেন বলে জানিয়েছে।