আজকাল ওয়েবডেস্ক: জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০ (NEP 2020) নিয়ে এক কঠোর ও বর্ণনাত্মক বিশ্লেষণে শোরগোল পড়েছে শিক্ষামহলে। এক বিশ্লেষণধর্মী প্রবন্ধে বলা হয়েছে, এই নীতি শিক্ষা নয়, বরং এক ধরনের "সহজ-ব্যবহারযোগ্য মানব যন্ত্র" তৈরির ছক।
প্রবন্ধে শিক্ষার্থীকে চিহ্নিত করা হয়েছে একাকী, উদ্বিগ্ন, আত্মবিমুখ এক অস্তিত্ব হিসেবে – সে আর জ্ঞানের অনুসন্ধানী নয়, বরং যুদ্ধরত এক আত্মা, নিজের সঙ্গে ও বিশ্বব্যবস্থার সঙ্গে। শিক্ষকও আর চিন্তার প্রসূতি নন, বরং পরিসংখ্যান ও ফর্ম পূরণের যন্ত্র। বিশ্ববিদ্যালয়কে বলা হয়েছে "ল্যাবরেটরি অব ডিসেন্ট" নয়, বরং "র্যাংকিং-এর রণক্ষেত্র"।
প্রবন্ধের ভাষ্য অনুসারে, এনইপি আসলে এই দীর্ঘদিনের পতনের নীতিগত রূপমাত্র। এখানে “উন্নয়ন” মানে “চাকরি-যোগ্যতা”, “সমাজ” মানে “বাজার”, এবং “সমতা” মানে “অতীত বিস্মৃতি”। নীতির “এক দেশ, এক মিশন, এক মন” ধারণা গণতান্ত্রিক চিন্তাধারাকে বিপন্ন করে তুলছে বলে মনে করছেন লেখক।
তবে আশার কথা, সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট স্মরণ করিয়ে দিয়েছে, শিক্ষা যুক্তরাষ্ট্রীয় (Concurrent) তালিকাভুক্ত – অর্থাৎ, কেন্দ্রীয় সরকার একতরফা সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিতে পারে না। রাজ্যগুলোর হাতে এখনও সুযোগ আছে, শুধু এনইপি প্রত্যাখ্যান করার নয়, বরং শিক্ষা কী ছিল, এবং কী হতে পারে – সেই স্মৃতি পুনরুদ্ধারের।
প্রবন্ধের শেষ কথাটি নতুন করে ভাবায়: “শেখার অর্থ ভুলে যাওয়ার আগে, আমরা কি মনে করতে পারি – বাঁচার অর্থ কী?”
