আজকাল ওয়েবডেস্ক: ছত্তিশগড়ে ২৭ মাওবাদীর এনকাউন্টার ঘটনায় বাসবরাজুর মৃত্যুতে প্রশ্ন তুলল বামপন্থী দলগুলি। ছত্তিশগড়ে নিরাপত্তাবাহিনীর অভিযানে মাওবাদী সাধারণ সম্পাদক নম্বালা কেশবরাও ওরফে বাসবরাজুসহ ২৭ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় প্রবল ক্ষোভ ও প্রশ্ন তুলেছে সিপিআই(এম), সিপিআই ও সিপিআই(এম-এল) লিবারেশন। বৃহস্পতিবার সিপিআই(এম)-এর পলিটব্যুরো এক বিবৃতিতে ঘটনাটিকে "অমানবিক হত্যা নীতি" বলে আখ্যা দিয়ে কড়া ভাষায় এর নিন্দা করে।

সিপিআই(এম) জানায়, “মাওবাদীরা বারংবার সরকারের সঙ্গে আলোচনার অনুরোধ জানিয়েছিল। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার এবং বিজেপি পরিচালিত ছত্তিশগড় সরকার কোনও সংলাপের পথে হাঁটেনি। তার বদলে তারা এক নির্মম হত্যানীতির পথ বেছে নিয়েছে।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ‘ডেডলাইন’ সংক্রান্ত মন্তব্য এবং ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রীর ‘কোনও আলোচনার দরকার নেই’ মন্তব্য প্রসঙ্গে সিপিআই(এম) বলেছে, “এইসব বক্তব্য এক ফ্যাসিস্ত মনোভাবের প্রতিফলন, যা হত্যা নীতি উদযাপন করে। এটি গণতন্ত্রের পরিপন্থী।”

বাম দল আরও জানায়, তারা মাওবাদীদের রাজনৈতিক পথের বিরোধী হলেও, সরকারের কাছে আহ্বান জানায় যেন অবিলম্বে আলোচনার প্রস্তাব গ্রহণ করা হয় এবং সমস্ত আধাসামরিক অভিযান স্থগিত রাখা হয়। এদিকে সিপিআই-ও এই ঘটনাকে ঘিরে প্রশ্ন তুলেছে। তাদের বক্তব্য, “আইনি পদ্ধতিতে গ্রেপ্তার না করে মাওবাদী নেতাকে হত্যা করা হয়েছে, যা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রতি সরকারের দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে।”

সিপিআই(এম-এল) লিবারেশনও ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেছে। অন্যদিকে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই ঘটনাকে "নকশাল নির্মূলের লড়াইয়ে ঐতিহাসিক সাফল্য" বলে উল্লেখ করেছেন। তবে, এই সাফল্যের ছায়ায় চাপা পড়ছে এক গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন—যখন আলোচনা সম্ভব ছিল, তখন এই রক্তপাত কি এড়ানো যেত না?