আজকাল ওয়েবডেস্ক: রাজ্য সরকারের তরফে জারি হয়েছে নতুন নির্দেশিকা। আর সেই নির্দেশিকা কেন্দ্র করে আপাতত কোমর বেঁধেছে রাজ্যের বিরোধীরা। রাজ্য সরকারের নয়া নির্দেশ, আগামী ৩১ অগাস্টের মধ্যে স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির হিসেব দিতে হবে সকল সরকারি কর্মীকে। অন্যথায় আটকে যাবে তাঁদের বেতন ও পদোন্নতি।  সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, উত্তরপ্রদেশে এমন নির্দেশিকাই জারি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।

 

রাজ্য-প্রশাসনের সবস্তরকে দুর্নীতিমুক্ত করতে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছেন যোগী আদিত্যনাথ। গত বছর অগাস্টেই উত্তরপ্রদেশে জারি হয় এই নির্দেশিকা। সেইসময় সরকারি কর্মীদের সম্পত্তির খতিয়ান জমা করতে বলা হয়েছিল ডিসেম্বরের মধ্যে।

 

এরপরে দু-দুবার নথি জমা করার সময়সীমা বৃদ্ধি করা হয়। প্রথমে মেয়াদ বাড়িয়ে বলা হয়েছিল, ৩০ জুনের মধ্যে সব সম্পত্তির হিসেব দাখিল করতে হবে সরকার কর্মীদের। পরে ফের সেই সময়সীমা বৃদ্ধি পায় ৩১ জুলাই পর্যন্ত। এবার নথি জমার সময়সীমা বাড়িয়ে করা হয়েছে ২০২৪ সালের ৩১ অগাস্ট পর্যন্ত।

 

রাজ্যে দুর্নীতিমুক্ত সরকার এবং স্বচ্ছ প্রশাসন গড়তে সিদ্ধান্তে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। সূত্র বলছে, চলতি বছরে অগাস্টের পর রাজ্য সরকারি কর্মীদের আর বাড়তি সময় দেওয়া হবে না। স্বাভাবিকভাবেই এই মাসের মধ্যেই রাজ্য সরকারের অধীনস্ত সব কর্মীদের রাজ্যের মানব সম্পদ পোর্টালে নথিভুক্ত করতে হবে সমস্ত স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির হিসাব। নাহলে অগাস্টেই বন্ধ হবে তাঁদের বেতন। আটকে যেতে পারে পদোন্নতিও।

 

জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ২৬ শতাংশ কর্মী তাঁদের সম্পত্তির হিসাব নতিভুক্ত করিয়েছেন। খতিয়ান দিতে বাকি রয়েছেন এখনও প্রায় ১৩ লক্ষ কর্মী। অন্যদিকে, রাজ্যের তরফে এমন নির্দেশিকা আসতেই যোগীকে নিশানা করছে বিরোধীরা। চাপের মুখে পড়ে এখন যোগী এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে দাবি বিরোধী শিবিরের।

 

প্রশাসন গড়াই যদি লক্ষ্য হয়, তবে বারবার সম্পত্তির খতিয়ান দেওয়ার সময়সীমা কেন বৃদ্ধি করা হল? তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরপরই কেন যোগী এই পদক্ষেপ নিলেন না? তা নিয়েও যোগীকে আক্রমণ শানাচ্ছে বিরোধীরা।