আজকাল ওয়েবডেস্ক: হাসপাতালের মধ্যে বসল বিয়ের আসর। বাজল সানাই, শঙ্খধ্বনি। আত্মীয়ের উপস্থিতিতে সাত পাকে বাঁধা পড়ল এক যুগল। যে ঘটনায় অবাক হাসপাতালের রোগীদের আত্মীয়রাও। কিন্তু কেন হাসপাতালেই বিয়ে সারল দম্পতি?
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের মুজফ্ফরপুরে। সেখানকার এসকেএমসিএইচ হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন রীতা দেবী নামের এক বৃদ্ধা। গত কয়েকদিন ধরেই তিনি অসুস্থ ছিলেন। দিন কয়েক আগেই তাঁর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়। তখনই পরিবারের সদস্যদের নিজের শেষ ইচ্ছার কথা জানিয়েছিলেন।
বৃদ্ধা জানান, তাঁর শেষ ইচ্ছা নাতির বিয়ে দেখা। মার্চ মাসেই তাঁর নাতি অভিষেক কুমারের বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক ছিল। বৃদ্ধার শেষ ইচ্ছার কথা পাত্রীর পরিবারে জানানো হয় অভিষেকের পরিবারের তরফে। অবশেষে দুই পরিবারের ইচ্ছেয় হাসপাতালে বসে বিয়ের আসর।
হাসপাতালের শিব মন্দিরে যুগল বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তাঁরা। বিয়ের সমস্ত আচার পালন করেই বিয়ে সারেন নবদম্পতি। তাঁদের বিয়ের সাক্ষী ছিলেন ওই বৃদ্ধা। নাতির বিয়ের দু'ঘণ্টা পরেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন রীতা দেবী। তাঁর মৃত্যুর পর আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন সকলে। হাসপাতালে আনন্দের মুহূর্ত বদলে যায় বিষাদে।
