আজকাল ওয়েবডেস্ক: মাত্র একবছর আগে বিয়ে। অসুস্থ স্ত্রীকে বাড়িতেই নির্মমভাবে খুন করলেন চিকিৎসক স্বামী। স্বামী ও স্ত্রী দুজনেই পেশায় চিকিৎসক। নিজের বাড়িতে স্ত্রীকে অ্যানেসথেসিয়ার ওভারডোজ দিয়ে খুন করেন তিনি। চিকিৎসক স্ত্রীর মৃত্যুর ছয় মাস পর গ্রেপ্তার চিকিৎসক স্বামী।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে বেঙ্গালুরুতে। বুধবার পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ছয় মাস আগে চিকিৎসক স্ত্রীকে খুনের অভিযোগে এক চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তরুণীর মৃত্যুর ছয় মাস পর খুনের অভিযোগে তাঁর স্বামীকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে আরও জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে ২১ এপ্রিল। বেঙ্গালুরুর পূর্ব দিকের মুন্নেকোল্লাল এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। জেনারেল সার্জন ড. মেহন্দ্র রেড্ডি নিজের বাড়িতেই চিকিৎসক স্ত্রীকে অ্যানেসথেটিক ড্রাগের ওভারডোজ দিয়ে খুন করেন। মহেন্দ্রর স্ত্রী ড. ক্রুথিকা রেড্ডি পেশায় একজন ডার্মেটোলজিস্ট ছিলেন। অ্যানেসথেসিয়া দেওয়ার পরেই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। তড়িঘড়ি করে স্বামীই স্ত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন। হাসপাতালে যাওয়ার পর চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এই ঘটনার পর মারাথাহল্লি থানায় চিকিৎসক তরুণীর রহস্যমৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। গত বছর ২৬ মে মহেন্দ্র ও ক্রুথিকা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। দু'জনেই পেশায় চিকিৎসক। বেঙ্গালুরুর ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন।
তদন্ত শুরুর পরেই ইনজেকশন টিউব, ক্যানুলা সেট, আরও কিছু মেডিক্যাল সামগ্রী উদ্ধার করে পুলিশ ফরেন্সিক টিমকে দিয়েছিল পরীক্ষার জন্য। এমনকী ময়নাতদন্তের জন্যেও তরুণীর দেহ পাঠানো হয়। কিছু নমুনা পাঠানো হয় ফরেন্সিক ল্যাবেও। পুলিশ জানিয়েছে, সেই পরীক্ষার পরেই জানা যায়, চিকিৎসক তরুণীর শরীরে প্রোফোফল নামের ক্ষতিকর অ্যানেসথেটিক ড্রাগ পাওয়া গিয়েছে।
এরপরই ১৩ অক্টোবর তরুণীর বাবা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশকে অভিযোগ করেন, অ্যানেসথেটিক ড্রাগ দিয়ে মেয়েকে জামাই খুন করেছিলেন ছয় মাস আগে। ১৪ অক্টোবর মণিপাল থেকে অভিযুক্ত চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বর্তমানে তিনি পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন। পুলিশ আরও জানিয়েছে, অভিযুক্ত জানান স্ত্রী আগে থেকেই অসুস্থ ছিলেন। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরেও চিকিৎসক স্বামী অ্যানেসথেসিয়ার বিষয়ে কিছুই জানাননি।
প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে আরও একটি নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল বেঙ্গালুরুতে। মেয়ের চোখের সামনেই স্ত্রীকে পরপর ছুরির কোপ। রাগের মাথায় স্ত্রীকে কুপিয়ে খুন করলেন স্বামী। ভয়ঙ্কর হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে ভরা রাস্তাতেই। এক বাস স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে স্ত্রীকে খুন করেন ঘাতক স্বামী।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে বেঙ্গালুরুতে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২৮ বছর বয়সি তরুণীকে কুপিয়ে খুন করেন তাঁর স্বামী। বাস স্ট্যান্ডে ১২ বছরের মেয়ের সামনেই তরুণীকে খুন করেন তাঁর স্বামী। মৃত তরুণীর নাম, রেখা। তিনি দুই সন্তানের মা। অন্যদিকে অভিযুক্ত লোকেশের কোনও সন্তান নেই। রেখা ও লোকেশ তিন মাস আগেই বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। এটি দুজনেরই দ্বিতীয় বিবাহ।
বেঙ্গালুরুতে স্থানান্তরিত হওয়ার লোকেশকে একটি কল সেন্টারের গাড়ির চালকের কাজ জোগাড় করে দেন রেখা। তরুণী সেই কল সেন্টারে কাজ করেন। কিন্তু কাজে যোগ দেওয়ার কিছুদিন পরেই রেখার চরিত্র নিয়ে সন্দেহ ঘনায় লোকেশের। তাঁর সন্দেহ ছিল, রেখা অন্য কোনও পুরুষের প্রতি আসক্ত।
গতকাল সকালে বাস স্ট্যান্ডে মেয়ের সঙ্গে দাঁড়িয়েছিলেন রেখা। বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। সেই সময়েই ধারালো ছুরি নিয়ে হামলা চালান লোকেশ। রেখাকে পরপর ছুরির কোপ মারেন। রেখার মৃত্যু নিশ্চিত হতেই ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যান অভিযুক্ত যুবক। স্থানীয়রা তড়িঘড়ি করে রেখাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিশ এই ঘটনার পর অভিযুক্ত লোকেশের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করেছে। তাঁর খোঁজে তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছে।
