আজকাল ওয়েবডেস্ক: রাত তখন প্রায় পৌনে একটা। বন্ধ দোকানপাট, শুনশান রাস্তা। বন্ধ হয়ে গিয়েছে ইন্দোরের প্রসিদ্ধ চামুণ্ডা দেবী মন্দিরের দরজা। সেই সময়ই ১০-১২টি গাড়ি চড়ে ইন্দোরের এক বিজেপি বিধায়কের ছেলের সহযোগিরা এসে মন্দির খোলার জন্য চেঁচামিচি করতে থাকেন। পুরোহিত বেরিয়ে এলে তাঁর কাছে জোরাজুরি চলে। কিন্তু, রাজি হননি পুরোহিত। এতেই বিধায়ক গোলু শুক্লার ছেলে রুদ্রাক্ষ শুক্লার বন্ধুদের আঁতে গা লাগে। এরপরই বিধায়ক-পুত্রের সহযোগিরা চড়াও হন পুরোহিতের উপর। তাঁর উপর মৌখিক ও শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে বলে অভিযোগ।

চামুণ্ডা দেবী নমন্দিরের তালাবদ্ধ দরজার সামনে রুদ্রাক্ষ এবং তাঁর সঙ্গীদের একটি ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। এরপরই বিতর্ক তৈরি হয়। বিধায়ক-পুত্র রুদ্রাক্ষ শুক্লার সহযোগী জিতেন্দ্র রঘুবংশীর বিরুদ্ধে পূজারী উপদেশ নাথের অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ। লিশ ভারতীয় ন্যায় সংহিতার প্রাসঙ্গিক ধারায় জিতেন্দ্রের বিরুদ্ধে মৌখিক এবং শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে।

এফআইআর-এ কেবল জিতেন্দ্রের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। রুদ্রাক্ষ শুক্লার নামের কোনও উল্লেখ নেই। পুরোহিত অভিযোগ করেছেন যে, প্রথমে বেশ কয়েকজনের নামে অভিয়োগ করেছিলেন তিনি, তাতে নাম ছিল রুদ্রাক্ষের। কিন্তু অভিযোগ দায়ের করার কিছুক্ষণ পরেই তাঁর কাছে একটি ফোন আসে। ওই ফোনে তাঁকে রুদ্রাক্ষের নাম প্রত্যাহার করার অনুরোধ কার হয়েছিল। কেন তাঁর কাছে এই অনুরোধ? জবাবে বিষয়টিকে 'অভ্যন্তরীণ' বলে জানিয়েছেন পুরোহিত উপদেশ নাথ। তবে একটি ভিডিও বিবৃতিতে পুরোহিত দৃঢ়ভাবে তা করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বলেছিলেন, "আমি কোনও আপস করব না"।

বিধায়কের ছেলের সম্ভাব্য জড়িত থাকার বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে, একজন ঊর্ধ্বতন পুলিশ অধিকারিক বলেন, "আমরা মন্দিরের আশেপাশের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করছি এবং সমস্ত প্রমাণ পরীক্ষা করে যথাযথ ব্যবস্থা নেব।" পুলিশ সূত্রে খবর, এফআইআর-এ অভিযুক্তের পূর্ববর্তী অপরাধমূলক রেকর্ড রয়েছে।