আজকাল ওয়েবডেস্ক: ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে মুন্দ্রা বন্দরে ডিআরআই (রাজস্ব গোয়েন্দা দপ্তর)-এর আটক করা ২,৯৮৮ কেজি হেরোইনের আর্থিক লাভের একটা অংশ জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তইবা-র কার্যকলাপে ব্যবহৃত হয়েছে বলে সুপ্রিম কোর্টে জানাল এনআইএ (জাতীয় তদন্ত সংস্থা)।

এনআইএ-র তরফে আদালতে বলা হয়েছে, একজন সুরক্ষিত সাক্ষী জানিয়েছেন যে নিহত TRF জঙ্গি লতীফ রাঠার তাঁকে বলেছিলেন, আফগানিস্তান ও পাকিস্তানভিত্তিক মাদক পাচারকারীদের সঙ্গে কাশ্মীর এবং ৩৭০ ধারা নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। সেই সূত্রে দিল্লি-হরিয়ানা সীমান্ত থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা সংগ্রহ করে অস্ত্র ও গোলাবারুদ কেনা হয়।

আসামি হরপ্রীত সিং টালওয়ারের (ওরফে কবীর টালওয়ার) জামিনের বিরোধিতা করতে গিয়ে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল ঐশ্বর্য ভাটী জানান, আফগানিস্তান থেকে আমদানিকৃত ট্যাল্ক পাথর ও কয়লার আড়ালে হেরোইন আনা হতো। এই ব্যবসার মাধ্যমে বৈধ চ্যানেল ব্যবহার করে বিশাল পরিমাণ অর্থ লস্কর-ই-তইবার কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও জানান, কলকাতায় এক অবসরপ্রাপ্ত কাস্টমস অফিসার, যিনি এই কনসাইনমেন্ট ছাড়পত্র দিয়েছিলেন, রহস্যজনকভাবে মারা যান।

এদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা বলেন, টালওয়ার তখন হাজতেই ছিলেন এবং আত্মহত্যার ঘটনাকে চাপের ফল বলে ব্যাখ্যা দেন।

এনআইএ আদালতে বলে, এই ‘নার্কো-টেরর’ ষড়যন্ত্রের মূল মাথা পাকিস্তানের আইএসআই ও লস্কর-ই-তইবা। দেশজুড়ে সবচেয়ে বড় হেরোইন চালান হিসেবে এর মূল্য প্রায় ২১,০০০ কোটি টাকা।

বিচারপতি সূর্যকান্ত ও এন কে সিং-এর বেঞ্চ এই মামলার শুনানি করছে।