আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভারতের ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (UIDAI) আধারের ফেস অথেন্টিকেশন প্রযুক্তিতে এক ঐতিহাসিক মাইলফলক স্পর্শ করেছে। ২০২৫ সালের জুলাই মাসে এই প্রযুক্তির মাধ্যমে রেকর্ড ১৯.৩৬ কোটি লেনদেন সম্পন্ন হয়েছে, যা গত বছরের একই মাসের (৫.৭৭ কোটি লেনদেন) তুলনায় প্রায় তিন গুণ বেশি। এই বছরের জুলাইয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের জুন মাসের তুলনায় লেনদেন বেড়েছে ২২%। মাসের প্রথম দিন অর্থাৎ ১ জুলাই সারাদিনে ১.২২ কোটি লেনদেন হয়েছে। যা গত ২০২৫ সালের ১ মার্চ হওয়া পূর্বের সর্বোচ্চ ১.০৭ কোটির রেকর্ড ভেঙে দেয়।

বর্তমানে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তর, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, তেল বিপণন সংস্থা এবং টেলিকম অপারেটরসহ প্রায় দেড়শোরও বেশি সংস্থা আধারের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চালিত ফেস অথেন্টিকেশন ব্যবহার করছে নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন সেবা প্রদানের জন্য। এই প্রযুক্তি অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস উভয় প্ল্যাটফর্মেই কাজ করে। এমনকি, সামাজিক কল্যাণেও বেড়েছে আধারের ব্যবহার। সামাজিক কল্যাণ খাতে, ন্যাশনাল সোশ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স প্রোগ্রাম (NSAP)-এ আধারের ফেস অথেন্টিকেশন যুক্ত হয়েছে, যার ফলে সুবিধাভোগীরা এখন নিরাপদ ও সম্পূর্ণ ডিজিটাল উপায়ে সামাজিক নিরাপত্তা ভাতা পাচ্ছেন। জুলাই মাসে এই সুবিধা ব্যবহার করেছেন ১৩.৬৬ লক্ষ NSAP সুবিধাভোগী। শিক্ষা ও নিয়োগ খাতেও আধারের প্রয়োগ বেড়েছে অনেকটাই। ন্যাশনাল মেডিকেল কমিশনের অধীনে থাকা ৮৫০টি মেডিকেল কলেজ ও প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি নথিভুক্ত করতে এই প্রযুক্তি চালু হয়েছে।

কেন্দ্রীয় নিয়োগ সংস্থা যেমন স্টাফ সিলেকশন কমিশন (SSC) ও রেলওয়ে রিক্রুটমেন্ট বোর্ড (RRB) প্রার্থীদের যাচাইয়ের জন্যও ব্যবহার করা হয়ে থাকে আধারের ফেস অথেন্টিকেশন। সব ধরনের আধার অথেন্টিকেশন মিলিয়ে ২০২৫ সালের জুলাই মাসে মোট ২২১ কোটি লেনদেন হয়েছে। যা বছরে ৩.৮% বৃদ্ধির ইঙ্গিত দিচ্ছে। এদিকে, আধার ই-কে ওয়াইসি (e-KYC) লেনদেন দাঁড়িয়েছে ৩৯.৫৬ কোটি, যা ব্যাঙ্কিং ও আর্থিক পরিষেবায় কাগজপত্র কমিয়ে এবং গ্রাহক অভিজ্ঞতা উন্নত করে দক্ষতা বাড়িয়েছে। ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার মতে, এই বিপুল বৃদ্ধি প্রমাণ করছে যে আধার দেশের কোটি মানুষের জীবনে সহজতা, স্বেচ্ছাসেবামূলক পরিষেবার প্রাপ্যতা এবং সরকারি সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে ক্রমশ বড় ভূমিকা নিচ্ছে।