আজকাল ওয়েবডেস্ক: মেট্রোপলিটন শহরগুলিতে চুরি ডাকাতির ঘটনা নতুন নয়। দিল্লি-এনসিআর, বেঙ্গালুরু এবং চেন্নাইয়ের মতো শহরগুলিতে ফোন ছিনতাই এবং চুরির ঘটনা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাস মেট্রো এবং ট্রেনের মতো পরিবহনে এই ঘটনাগুলি এখন জলভাত! এবার শিকার একজন বাস কন্ডাক্টরই। তাঁর ফোন চলন্ত বাসের ভেতর থেকে চুরি করে নিয়ে যায় এক চোর। যথারীতি তিনি কাজে ব্যস্ত থাকাকালীন এই ঘটনা ঘটে।
এক্স-এ (X) শেয়ার করা একটি সিসিটিভি ভিডিওতে দেখা যায় ঘটনাটি, যা ভাইরালর হয়েছে৷ ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে- কন্ডাক্টর একজন যাত্রীর সঙ্গে কথা বলতে ব্যস্ত। তার ফাঁকেই কনডাক্টরের পিছনে দাঁড়িয়ে একটি অল্প বয়সী ছেলে। বাস থামার মুহুর্তে দরজা খুলতে না খুলতেই সে দ্রুত এগিয়ে আসে। ব্যাগ থেকে কন্ডাক্টরের ফোন কেড়ে নেয় এবং দৌড়ে নেমে যায়।
এই ভাইরাল ভিডিওতে কমেন্টের বন্য। একজনের প্রতিক্রিয়া,' ইতনা চুপকে সে কাম নিপ্টা দিয়া, এক ভারত রত্ন ইসকো ভি মিলনা চাহিয়ে (তিনি এত চুপিসারে কাজটি সম্পন্ন করেছেন, তাকেও ভারতরত্ন দেওয়া উচিত)।' অন্য একজন মন্তব্য করেছেন, 'বিলকুল সময় না লাগায়া (সে বেশি সময় নেয়নি)।' কেউ আবার বলেন, 'কেয়া হাত কি সাফাই হ্যায় (হাতের কী কারুকাজ)।'
দিল্লিতে ফোন ছিনতাই এবং চুরি নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। তথ্য অনুসারে, ২০২৩ এবং ২০২২ সালে দিল্লি পুলিশ চুরি হওয়া ফোনের প্রায় ৩০ শতাংশ উদ্ধার করেছে। ২০২১ সালে এই সংখ্যা ছিল ২৭ শতাংশ। পুলিশের তথ্য অনুসারে, ২০২৪ সালে ৪,৭৪৯টি ফোন ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ১,৫৭২টি উদ্ধার করা হয়েছে। ২০২৩ সালে ৫,৮৭৩টি ফোন চুরি হয়েছে। উদ্ধার ১,৭৭৬টি। ২০২২ সালে, ৬,৩৮২টি চুরি হওয়া ফোনের মধ্যে মাত্র ১,৯১৯টি উদ্ধার করা হয়েছে।
এর আগে এপ্রিল মাসে একটি চোরের ট্রেন থেকে ফোন চুরির চেষ্টার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল। তবে চোরের ভাগ্য খারপ। যাত্রী ওই চোরকে হাতেনাতে ধরে ফেলে। ফলস্বরূপ, চোরটি ট্রেনের জানালায় আটকে থাকতে বাধ্য হয়। কয়েক কিলোমিটার ধরে বিপজ্জনকভাবে ঝুলে থাকে। সেই সময়ে যাত্রীরা ক্রমাগত চোরের মাথায় আঘাত করে চলে।
