আজকাল ওয়েবডেস্ক: পরনে শাড়ি, অথবা সালোয়ার-কামিজ। আলুথালু চুল। যেমন অতি সাধারণ বেশ, তেমনই নরম ভাবভঙ্গিমা। একনজরে দেখে বোঝার উপায় নেই এরাই সিলিয়াল কিলার! এমন ছাপোষা বেশে ধরা দিয়েই পরপর হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করেছে তিন মহিলা। উদ্দেশ্য ছিল, দামী গয়না, টাকাপয়সা হাতানো।
বৃহস্পতিবার অন্ধ্রপ্রদেশে পুলিশ গ্রেপ্তার করল তিন মহিলা সিরিয়াল কিলারকে। পুলিশ সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, এরাই গত কয়েক মাসে অন্ততপক্ষে চারটি খুন করেছে। আরও দুইজনকে খুনের চেষ্টা করেছিল। কিন্তু চিকিৎসার পর তাঁরা সুস্থ হয়ে ওঠেন। এরপরই থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত তিন মহিলা সিরিয়াল কিলার হল মুনাগাপ্পা রজনী, মাদিয়ালা ভেঙ্কটেশ্বরী ও গুলরা রামানাম্মা। এদের মধ্যে রামানাম্মা ষাটোর্ধ্ব এক বৃদ্ধা। ভেঙ্কটেশ্বরীর বিরুদ্ধে আগেই সাইবার অপরাধের অভিযোগ ছিল। তিনজনে একটি ছক কষেই পরপর খুনের ঘটনাগুলো ঘটিয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, এরা প্রথমে অপরিচিতদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করত। এরপর গল্প করতে করতে ঠান্ডা পানীয় খেতে দিত। সেই পানীয়তেই মিশিয়ে দিত সায়ানাইড। ওই ঠান্ডা পানীয় খাওয়ার পরেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তেন অনেকে। তারপরেই চলত লুঠপাট। সোনা, গয়না, টাকা যা কিছু থাকত সব চুরি করে পালিয়ে যেত। জেরায় তিনজনেই খুনের ঘটনাগুলো স্বীকার করে নিয়েছে। তাদের কাছ থেকে যাবতীয় সম্পদ, সায়ানাইড, ধারাল অস্ত্র বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। তিন সিরিয়াল কিলারকে যে ব্যক্তি সায়ানাইড সরবরাহ করত, তাকেও গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
