আজকাল ওয়েবডেস্ক: গ্রীষ্মের দাবদাহে সুস্থ থাকতে পর্যাপ্ত জল খাওয়া ছাড়া উপায় নেই। গরমে ঘাম বেশি হয়। ফলে শরীর থেকে প্রচুর জল বেরিয়ে যায়। শরীরে পর্যাপ্ত জল না থাকলে ডিহাইড্রেশনের আশঙ্কা থাকে। আর শরীরে জলশূন্যতা হলেই হানা দেয় একাধিক জটিল রোগ। তাই পর্যাপ্ত জল খাওয়া অত্যন্ত জরুরি।
2
9
সাধারণ জল শরীরকে হাইড্রেট করে ঠিকই, কিন্তু কাঠফাটা গরমে অনেক সময়ে তাতেও জলের ঘাটতি মেটে না। এই পরিস্থিতিতে জলের সঙ্গে কিছু উপকরণ মিশিয়ে কয়েকটি পানীয় খেতে পারেন। তাহলেই স্বাদের বৈচিত্র্যের সঙ্গে পাবেন স্বাস্থ্যের উপকারিতাও।
3
9
গুড়ঃ আয়রন এবং প্রয়োজনীয় খনিজে ভরপুর গুড়। এটি শরীরে ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে, বিশেষ করে ঘামের মাধ্যমে শরীর থেকে অতিরিক্ত লবণ বেরিয়ে গেলে গুড় মেশানো জল খেলে উপকার পাবেন। এই পানীয় ক্লান্তিভাব কমায়, শরীরে এনার্জি বাড়িয়ে তোলে। সঙ্গে পটাশিয়াম থাকায় পেশীর খিঁচুনি কমাতেও সাহায্য করে।
4
9
সামুদ্রিক লবণঃ পরিমিত পরিমাণে সি সল্ট বা সামুদ্রিক লবণ খেলে এটি জলশূন্যতার সমস্যায় শরীরে তরল এবং খনিজ পদার্থ ধরে রাখতে সাহায্য করে। শরীরে ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালশিয়াম এবং পটাশিয়ামের মতো উপাদান যেগুলির ভারসাম্য ঘামে নষ্ট হয়ে যায়, সবই রয়েছে সামুদ্রিক লবণে। গরমে বিশেষ করে শরীরচর্চার পরে বা রোদে বেরলে এক চিমটি সামুদ্রিক লবণ মিশিয়ে জল খেলে তরতাজা থাকবেন, পেশী দুর্বলতার ঝুঁকি থাকবে না।
5
9
তুলসীঃ তুলসী শরীরকে ভিতর থেকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। তুলসী পাতা জলে মিশিয়ে খেলে শরীরে প্রদাহ কমে এবং টক্সিনমুক্ত হয়। এটি পরিপাকতন্ত্রকে ঠান্ডা করে, শরীরের আভ্যন্তরীণ তাপ কমাতে এবং কর্টিসলের মাত্রার ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
6
9
মৌরিঃ পেটগরম হয়ে গেলে শরীর ঠান্ডা করতে মৌরি-মিছরির জল খেতে বলতেন ঠাকুরমা-দিদিমারা। এক গ্লাস জলে এক চা চামচ মৌরি ও মিছরি সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন সকালে সেই জল খান। মৌরিতে রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটিরিয়াল উপাদান, যা পেটের সমস্যা কমাতে সহায়তা করে। এমনকি পেটে কোনও সংক্রমণ দেখা দিলেও তা থেকে বাঁচাতে পারে মৌরি।
7
9
আমলকিঃ অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ আমলকি একটি হাইড্রেটিং সুপারফুড। যা শরীরে খনিজ পদার্থের ঘাটতি পূরণ করতে সাহায্য করে। টাটকা আমলকির রস বা আমলকির ছোট ছোট টুকরো জল মিশিয়ে খেতে পারেন। এতে শরীর ভেতর থেকে ঠান্ডা থাকবে। আমলকি ত্বকের হাইড্রেশনও বাড়ায়, গ্রীষ্মকালীন ক্লান্তির ঝুঁকি কমায়।
8
9
কোতিলাঃ আয়ুর্বেদে শরীর ঠান্ডা রাখে এমন উপাদানগুলির মধ্যে কোতিলা অন্যতম। এটি জলে ভিজলে জেলির মতো পদার্থে পরিণত হয়। রাতে এক গ্লাস জলে কোতিলা ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন সকালে সেই জল পান করলে হিটস্ট্রোকের আশঙ্কা কমবে।
9
9
সবজা সিডঃ চিয়া সিড, ফ্ল্যাক্স সিডের পাশাপাশি তুলসির বীজও এখন বেশ জনপ্রিয়। এই বীজই সবজা সিডস হিসেবে পরিচিত। প্রচুর পরিমাণ পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ সবজা সিড গরমে খুবই উপকারী। শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে খুব ভাল করে এই বীজ। পেটের নানা সমস্যা দূর করে এবং পেট ঠান্ডা রাখে। জলে ভিজিয়ে কিংবা ডাবের জল, স্মুদি, দইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে এই বীজ খেতে পারেন।