ভারতের প্রথম রাষ্ট্রপতি ছিলেন ডঃ রাজেন্দ্র প্রসাদ। তিনি ২৬ জানুয়ারি, ১৯৫০ থেকে ১৩ মে, ১৯৬২ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেছিলেন। আইনজীবী তথা স্বাধীনতা সংগ্রামী জিরাদেই (বিহার)-এর প্রতিনিধিত্ব করতেন। তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে খাদ্য ও কৃষিমন্ত্রী এবং এর আগে কংগ্রেস সভাপতি (১৯৩৪, ১৯৩৯, ১৯৪৭) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
2
7
১৮৮৪ সালের ৩ ডিসেম্বর তাঁর জন্ম। কলকাতায় পড়াশোনা। পরে একজন বিশিষ্ট আইনজীবী হিসেবে খ্যাতি পান। অসহযোগ এবং লবণ সত্যাগ্রহ আন্দোলনে যোগদানের আগে একাধিকবার কারাবাস ভোগ করেন। তিনি গণপরিষদের সভাপতিত্ব করেন (১৯৪৬-৪৯) এবং ১৯৫০ সালে সর্বসম্মতিক্রমে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন, ১৯৫২ এবং ১৯৫৭ সালে পুনর্নির্বাচিত হন, ১৯৬২ সালে অবসর গ্রহণ করেন এবং ২৮ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৩ সালে মৃত্যুবরণ করেন।
3
7
ডঃ রাজেন্দ্র প্রসাদ হলেন ভারতের ইতিহাসের একমাত্র রাষ্ট্রপতি যিনি দুই মেয়াদে পূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনিই দীর্ঘতম সময় পদে ছিলেন। প্রায় ১২ বছর ধরে রাষ্ট্রপতি ছিলেন তিনি। তাঁর সময়ে প্রথমবারের মতো প্রায় এক মাসের জন্য রাষ্ট্রপতি ভবনের মুঘল উদ্যান জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছিল।
4
7
তিনি তিনবার কংগ্রেস সভাপতি ছিলেন। ১৯৩৪ (বম্বে), ১৯৩৯ (নেতাজির পদত্যাগের পর), এবং ১৯৪৭ (জে. বি. কৃপালনীর পর) সালে। আইনে কেরিয়ার গড়ার আগে ডঃ রাজেন্দ্র প্রসাদ বিহারের একটি কলেজে ইংরেজির অধ্যাপক ছিলেন।
5
7
১৯০৬ সালে পাটনা কলেজ হলে বিহারী ছাত্র সম্মেলন প্রতিষ্ঠার সঙ্গেও তিনি জড়িত ছিলেন। ১৯১৭ সালে তিনি ব্রিটিশ নীলকরদের দ্বারা নির্যাতিত বিহারের কৃষকদের দুর্দশার উন্নতির জন্য একটি প্রচারের অংশ ছিলেন।
6
7
তিনি সত্যাগ্রহ আন্দোলন, চম্পারণ আন্দোলন এবং ভারত ছাড়ো আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণকারী ছিলেন। তাই ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় ব্রিটিশদের দ্বারা কারারুদ্ধ হন। বাঁকিপুর কারাগারে তিন বছর কারাবাসের সময় তিনি তাঁর আত্মজীবনী ‘আত্মকথা’ রচনা করেন।
7
7
গান্ধীর পশ্চিমি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বর্জনের আহ্বানের প্রতিক্রিয়ায়, তিনি তাঁর ছেলে মৃত্যুঞ্জয় প্রসাদকে স্কুল ছেড়ে বিহার বিদ্যাপীঠে ভর্তি হতে বলেন। এই প্রতিষ্ঠানটি তিনি এবং তাঁর বন্ধুরা ভারতীয় ঐতিহ্যবাহী মডেলে গড়ে তুলেছিলেন।