বিয়ে করার সময় কর্মীদের ছুটি দিয়ে থাকে বিভিন্ন সংস্থা। এর পাশাপাশি সন্তান প্রসবের আগে মাতৃত্বকালীন ছুটিও দেওয়া হয় মহিলাদের। পিতৃত্বকালীন ছুটিও দিয়ে থাকে কোনও কোনও সংস্থা।
2
11
কিন্তু কর্মীদের বিয়ে করার জন্য চাপ দেওয়া এবং সন্তানের জন্ম না দিলে ছাঁটাইয়ের হুমকি কি কোনও সংস্থা দিতে পারে?
3
11
সে রকমই একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে চীনের একটি সংস্থা। অবিবাহিত এবং বিবাহবিচ্ছিন্ন কর্মীদের আগামী সেপ্টেম্বরে মধ্যে বিয়ে করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
4
11
চীনের সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, শ্যানডং শুনটিয়ান কেমিক্যাল গ্রুপ লিমিটেড নামক সংস্থা প্রায় ১২০০ কর্মীর জন্য এই বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।
5
11
সংস্থার ২৮ থেকে ৫৮ বছর বয়সী অবিবাহিত এবং বিবাহবিচ্ছিন্ন কর্মীদের উদ্দেশ্যে জারি করা ওই নোটিশে বলা হয়েছে, সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিয়ে করে সংসার পাততে হবে। মার্চের মধ্যে যাঁদের বিয়ে হবে না, তাঁদের নিজনিন্দা করে চিঠি লিখতে হবে। জুনের মধ্যে যাঁদের বিয়ে হবে না, তাঁদের মূল্যায়ন করা হবে সংস্থা তরফ থেকে। সেপ্টেম্বরের শেষেও যাঁদের বিয়ে হবে না, তাঁদেরকে ছাঁটাই করা হবে।
6
11
সংস্থার তরফে দাবি করা হয়েছে, এই বিজ্ঞপ্তির উদ্দেশ্যই ছিল কর্মীদের মধ্যে চেতনা এবং সাংস্কৃতিক মূল্যবোধের উদ্রেক করা।
7
11
দ্রুতই সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায় বিজ্ঞপ্তিটি। প্রবল কটাক্ষের মুখে পড়ে শেষ পর্যন্ত বিজ্ঞপ্তিটি তুলে নিতে বাধ্য হয় ওই সংস্থা।
8
11
গত কয়েক বছর ধরেই চীনের জনসংখ্যার হার ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে। নতুন প্রজন্ম বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হতে আগ্রহী নয়। একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ২০২৪ সালে সে দেশে বিবাহের সংখ্যা কমেছে ২০.৪ শতাংশ।
9
11
২০২৪ সালে ৬১ লক্ষ মানুষ বিয়ে করার জন্য নাম নথিভুক্ত করিয়েছিলেন। ২০২৩ সালে সংখ্যাটি ছিল ৭৭ লক্ষ।
10
11
সকলকে অবাক করে দেখা গিয়েছে চীনে প্রতি বছর বিবাহবিচ্ছেদের সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০২৪ সালে চীনে ২৬ লক্ষ দম্পতির বিচ্ছেদ ঘটেছে। ২০২৩ সালের তুলনায় যা ২৮ হাজার করে বেশি।
11
11
অর্থনৈতিক অস্থিরতা, অনিশ্চিত ভবিষ্যতের কারণে নতুন প্রজন্ম বিয়েতে বিশেষ আগ্রহী নয়। কর্মক্ষেত্রে বিপুল চাপের বিষয়টিও রয়েছে। ক্রমহ্রাসমান জন্মহার নিয়ে চিন্তিত শি জিনপিং সরকারও। দেশের নানা প্রদেশের সরকার কর্মীদের নানা রকম সুযোগ সুবিধা দেওয়ার কথা ঘোষণাও করেছেন। যাতে কর্মীদের হাতে বেশি সময় থাকে। তাঁরা সংসার পাতার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করতে পারেন। কিন্তু পরিস্থিতির বিশেষ পরিবর্তন হয়নি।