অল্প বয়সেই নিজের গ্রামের বাড়ি ছেড়েছিলেন লক্ষ্মণ উটেকর। দু'চোখে স্বপ্ন ছিল একসময় বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করার। সেই চেষ্টা চালানোর পাশাপাশি পেট চালাতে মুম্বইয়ে বিখ্যাত শিবাজি পার্কার পাশে বড়া পাও-এর একটি ঠেলা লাগিয়েছিলেন লক্ষ্মণ!
2
8
কিন্তু কিছুদিন পর পুর কর্তৃপক্ষ সেই ঠেলা বাজেয়াপ্ত করে নেয়। আর এই ঘটনার পরেই জীবনের মোড় ঘুরে যায় লক্ষ্মণের। কাজের ধান্ধায় এক ফিল্ম-এডিটিং অফিসে পিওনের কাজ পাওয়ামাত্রই সেখানে যোগ দেন তিনি। কাছাকাছি থেকে দেখতে থাকেন কীভাবে ছবিতে সম্পাদনা করা হয়। ওই অফিসে ক্যামেরা বাহকের জায়গা ফাঁকা থাকায়,লক্ষ্মণ সেই কাজে ঢুকে পড়েন।
3
8
এরপর ধীরে ধীরে একমনে ক্যামেরা চালনার কাজ শিখতে থাকেন লক্ষ্মণ। পদোন্নতি হয়ে যায় তাঁর। প্রধান ক্যামেরা অ্যাটেন্ডেন্টের পদে উন্নীত হন তিনি। তারপর প্রধান ক্যামেরাম্যানের সহযোগী, সেখান থেকে খোদ ক্যামেরাম্যান!
4
8
ক্যামেরাম্যান হিসাবে তাঁর প্রথম কাজ পরিচালক অ্যান্থনি ডি'সুজার একটি মিউজিক ভিডিওর শুট। প্রথম সুযোগেই চোখে পড়ে যান তিনি। এরপর ব্লু, ডিয়ার জিন্দেগি, ইংলিশ ভিংলিশ, হিন্দি মিডিয়াম-এর মতো তাবড় তাবড় বক্স অফিস সফল ছবিতে প্রধান ক্যামেরাম্যানের দায়িত্ব সামলান তিনি।
5
8
২০১৩ সালে মারাঠি ছবি 'তাপাল' ছবির মাধ্যমে পরিচালকের পথে তাঁর হাঁটা শুরু। লক্ষ্মণ উটেকর পরিচালিত প্রথম হিন্দি ছবির নাম লুকা ছুপি। ২০১৯ সালে মুক্তি পাওয়া সেই ছবি বক্স অফিসে তুমুল সফল হয়।
6
8
এরপর আসে কৃতি শ্যানন এবং পঙ্কজ ত্রিপাঠিকে নিয়ে তাঁর পরবর্তী ছবি 'মিমি'। ব্যাস! আর পরিচালক হিসাবে ঘুরে তাকাতে হয়নি তাঁকে।
7
8
তারপর শাহিদ কাপুর এবং কৃতি শ্যাননের ছবি ‘তেরি বাতো মেঁ অ্যায়সা উলঝা জিয়া’ ছবির প্রযোজকের দায়িত্বও সামলেছেন তিনি।
8
8
এইমুহূর্তে তাঁর পরিচালিত ছাবা তুফান তুলেছে বিশ্বব্যাপী। সেই নিরিখে বলিউডের গুরুত্বপূর্ণ পরিচালকের তালিকায় উঠে এসেছেন লক্ষ্মণ উটেকর।