সিলভেস্টার স্ট্যালোন: হলিউডের অ্যাকশন আইকন সিলভেস্টার স্ট্যালোনের বড় ছেলে সেজ স্ট্যালোনের মৃত্যু যেন আজও ভরিয়ে দেয় বিস্ময়ে। বয়স মাত্র ৩৬। এমন এক বয়স, যেখানে জীবন নতুন করে ছুটতে শুরু করে—সেই সময়েই হৃদরোগে মৃত্যু হয় সেজ-এর। তবে তাঁর মৃত্যুর পরপরই সামনে আসে আরও জটিল কিছু। স্ট্যালোন-পুত্রের বন্ধুরা দাবি করেন, সেজ ছিলেন প্রেসক্রিপশন ড্রাগে আসক্ত। তাঁর জীবন ছিল হতাশায় মোড়া, আর বাবার সিলভেস্টারের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কও ছিল যথেষ্ট জটিল ও দূরত্বভরা।
2
4
মার্লন ব্র্যান্ডো: সিনেমার ইতিহাসে মার্লন ব্র্যান্ডো এক জীবন্ত কিংবদন্তি। কিন্তু তাঁর ব্যক্তিজীবন যেন ট্র্যাজেডির নাট্যমঞ্চ।মাত্র ২৫ বছর বয়সে আত্মহত্যা করেন তাঁর মেয়ে শায়েন ব্র্যান্ডো। ১৯৯৫ সালে নিজ ঘরেই গলায় দড়ি দিয়ে শেষ করে দেন জীবন। তারপর আরও বিস্ফোরক অধ্যায়—২০০৮ সালে রহস্যজনকভাবে মারা যান মার্লনের ছেলে, ক্রিশ্চিয়ান ব্র্যান্ডো। একজন হাই-স্কুল ড্রপআউট, এক ব্যর্থ অভিনেতা, দীর্ঘদিনের মাদকাসক্ত, এমনকি নিজের বোনের প্রেমিককে গুলি করে হত্যা করে হাজতবাসও করেছিলেন।
3
4
জ্যাক স্নাইডার: ২০১৭ সালের মার্চ। একদিকে হলিউডে তখন সাজানো হচ্ছে বিশাল সুপারহিরো ইউনিভার্স—‘জাস্টিস লিগ’-এর জোর কদমে শুটিং চলছে। অন্যদিকে, ঠিক সেই সময় ভেঙে চুরমার হয়ে যায় পরিচালক জ্যাক স্নাইডারের নিজের পৃথিবী। মাত্র ২০ বছর বয়সে আত্মহত্যা করেন তাঁর মেয়ে, অটাম স্নাইডার।
4
4
অটাম ছিলেন জ্যাকের আট সন্তানের মধ্যে তৃতীয়। চিন থেকে দত্তক নেওয়া এই মেয়েটি তাঁর প্রথম স্ত্রী ডেনিস ওয়েবারের সঙ্গে গড়ে তোলা পরিবারের অমূল্য অংশ ছিল। মেয়ের মৃত্যুর ধাক্কা এমন ছিল যে ‘জাস্টিস লিগe’-এর পোস্ট-প্রোডাকশন থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন স্নাইডার। প্রজেক্ট শেষ করার দায়িত্ব পড়ে জস উইডনের হাতে। জ্যাক স্নাইডার পরে জানান—“ও ছিল আমার অনুপ্রেরণা। ওর মৃত্যুর পর সবকিছু অর্থহীন লাগত। সুপারহিরো তৈরি করতে গিয়ে আমি আমার নিজের ‘হিরো’টাকে হারিয়ে ফেললাম।”