জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, পৌষ মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে পালিত হয় হনুমান অষ্টমী। আর সেই তিথি এই বছর পড়েছে ১২ ডিসেম্বর। অর্থাৎ আজ। এদিন সমস্ত হনুমান মন্দিরে সকাল থেকেই পুজো শুরু হয়ে গিয়েছে। বিকেলে হবে বিশেষ সন্ধ্যারতি। কোথাও কোথাও শোভাযাত্রাও বেরোবে। কিন্তু কেন পালিত হয় এই হনুমান অষ্টমী? ছবি-সংগৃহীত
2
5
মনে করা হয় ত্রেতাযুগে এই বিশেষ তিথিতে বজরংবলী তথা হনুমানজি পাতালপ্রবেশ করেছিলেন। পাতালে গিয়ে অহিরাবণকে বধ করেন। এবং তাঁর কবল থেকে মুক্ত করে আনেন রাম এবং লক্ষ্মণকে। এই কারণেই পৌষ মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিকে বিজয় উৎসব রূপে পালন করা হয়। পালিত হয় হনুমান অষ্টমী। ছবি-সংগৃহীত
3
5
আরেক মত অনুযায়ী, পাতাল থেকে ফেরার পর এই বিশেষ তিথিতে হনুমানজি উজ্জয়িনীতে বিশ্রাম করেছিলেন। এই কারণে উক্ত জায়গায় সাড়ম্বরে পালিত হয় হনুমান অষ্টমী। ছবি-সংগৃহীত
4
5
মনে করা হয়, এই তিথিতে হনুমানজির আরাধনা করলে, ভক্তদের মনস্কামনা পূরণ করেন তিনি। কারও যদি জন্মছকে শনি, মঙ্গল বা রাহুর অবস্থান ঠিক না থাকে, তার কুপ্রভাবে জীবন অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে, তাহলে সেই ব্যক্তির হনুমানের আরাধনা করা উচিত। এতে জটিলতা কেটে যায়। ছবি-সংগৃহীত
5
5
যে রাশির জাতকদের শনির সাড়ে সাতি চলছে, তাঁরা যদি হনুমান অষ্টমীর দিন হনুমানজিকে তেল, সিঁদুর দিয়ে পুজো করেন এবং হনুমান চালিসা, হনুমান অষ্টক পড়েন, তাহলে সমস্যা কমবে। বিপদ দূরে থাকবে। প্রতি শনি এবং মঙ্গলবার করে এই ব্যক্তিদের উচিত হনুমানজির দর্শন করে, তাঁর সামনে প্রদীপ জ্বালানো। ছবি-সংগৃহীত