বাড়ির বাগান শান্তি, সতেজ বাতাস ও সৌন্দর্য এনে দিলেও কিছু গাছপালা সাপের মতো অপ্রত্যাশিত অতিথিদের আকৃষ্ট করতে পারে। সব সাপ বিষধর না হলেও এদের উপস্থিতি ভয়ের পরিবেশ তৈরি করে এবং দুর্ঘটনার সম্ভাবনা বাড়ায়।
2
8
বাঁশ গাছের ঘন ঝোপ, ছায়া ও ফাঁপা কাণ্ড সাপের লুকানোর আদর্শ জায়গা তৈরি করে। ঝরেপড়া পাতার স্তূপ ও ছোট প্রাণীদের উপস্থিতি সাপের আকর্ষণ বাড়ায়।
3
8
রঙিন ফুলওয়ালা বনমরিচ বা পুটুস গাছ দেখতে সুন্দর হলেও এর ঝোপঝাড় ছোট পোকামাকড় ও পাখি আকৃষ্ট করে, যা আবার সাপের খাদ্য চক্রে পড়ে যায়। ফলে এই গাছের নিচে সাপ লুকানো খুবই সাধারণ।
4
8
মানিপ্ল্যান্ট বাড়ির ভিতরে ও বাইরে খুব জনপ্রিয় হলেও ঘনভাবে বেড়ে উঠলে এটি সাপের জন্য নিরাপদ আশ্রয় হয়ে ওঠে। বাড়ির দেয়াল বা বেড়ার উপর ছড়িয়ে থাকা লতায় সাপ অনায়াসে চলাফেরা করতে পারে।
5
8
তুলসী গাছ সাধারণত ছায়াযুক্ত জায়গায় বা জলের কাছাকাছি রাখা হয়, যা সাপের আরামদায়ক আশ্রয়স্থল। গাছের গন্ধে পোকামাকড় আসায় সাপের খাদ্যও সহজেই মেলে।
6
8
সুপারি গাছের গোড়ায় শুকনো পাতার স্তূপ, স্যাঁতসেঁতে মাটি ও ছায়া সাপের জন্য নিরাপদ আশ্রয় তৈরি করে। বিশেষ করে গরম দুপুরে বা বর্ষাকালে এই জায়গায় সাপ লুকিয়ে থাকে।
7
8
জুঁই গাছ রাতের দিকে গন্ধ ছড়িয়ে পোকা-মাকড় আকৃষ্ট করে, যা সাপের খাদ্য অনুসন্ধানে সহায়ক।
8
8
লেমনগ্রাস ঝোপালো ও মাটির কাছে থাকার ফলে সাপ সহজে লুকিয়ে থাকতে পারে। লেমনগ্রাস সাধারণত মশা তাড়ানোর জন্য এবং এর মনোরম গন্ধের কারণে চাষ করা হয়। তবে এর ঝোপঝাড় মূল ও ঘন গঠনের কারণে মাটি ভেজা থাকে এবং তা সাপের আশ্রয়স্থল হয়ে উঠতে পারে। লেমনগ্রাস লম্বা গাছের মতো না হওয়ায় এটি মাটির কাছাকাছি থাকে, ফলে ছোট সরীসৃপদের চলাফেরা সহজে নজরে পড়ে না।