‘রোজা’ ও ‘বোম্বে’ ছবির জনপ্রিয় অভিনেতা অরবিন্দ স্বামী অভিনয়জগতে প্রবেশ কিন্তু হঠাৎ করেই। পরিচালক মণি রত্নম তাঁকে ১৯৯১ সালে ‘থালাপতি’ ছবির জন্য বেছে নেন।
2
8
অরবিন্দ-র দুরন্ত অভিনয় ও ‘পাশের বাড়ির ছেলে’ মার্কা ব্যক্তিত্ব দ্রুতই তাঁকে ঘরের নাম করে তোলে। দেশজুড়ে জনপ্রিয়তা ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি এনে দেয়।
3
8
২০০০-এর দশকের গোড়ার দিকে অরবিন্দ স্বামী চলচ্চিত্র জগৎ থেকে বিরতি নেন ব্যক্তিগত জীবনের প্রতি মনোযোগ দিতে। তবে এই সময়টা তাঁর জন্য সহজ ছিল না—ব্যবসায়ে প্রভূত ক্ষতি, মেরুদণ্ডে গুরুতর চোট, আর্থিক সংকট এবং বিবাহবিচ্ছেদের মতো কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হন। কিন্তু দুর্দান্ত মনোবলের জোরে জীবনে নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর সংকল্প নেন।
4
8
ব্যবসায়িক জগতে প্রবেশ করে, তিনি তাঁর বাবার প্রতিষ্ঠান ভি ডি স্বামী অ্যান্ড কোম্পানির দায়িত্ব নেন এবং ট্যালেন্ট ম্যাক্সিমাস নামে একটি পে-রোল প্রসেসিং সংস্থার প্রতিষ্ঠা করেন।
5
8
পাশাপাশি, ইন্টার প্রো গ্লোবাল গ্লোবাল এবং প্রোলিজ ইন্ডিয়া-র মতো সংস্থার নেতৃত্ব দিয়ে ধীরে ধীরে এক বিশাল ব্যবসায়িক সাম্রাজ্য গড়ে তোলেন, যার মোটমূল্য আজ ৩৩০০ কোটি টাকা।
6
8
২০১৩ সালে মণি রত্নমের ‘কড়াল’ ছবির মাধ্যমে ফের অভিনয়ের জগতে ফিরে আসেন অরবিন্দ । তবে তাঁর কেরিয়ারে নতুন মোড় আসে ২০১৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘থানি ওরুভান’ ছবির মাধ্যমে, যেখানে তাঁর অভিনীত খলচরিত্রটি ব্যাপক প্রশংসা পায়।
7
8
এরপর ‘চেক্কা চিভন্ত ভানাম’ এবং ‘থালাইভি’র মতো ছবিতেও তাঁর শক্তিশালী অভিনয় আরও একবার প্রমাণ করে যে তিনি এখনও দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম সেরা।
8
8
বর্তমানে, প্রায় ১৭২ কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক অরবিন্দ স্বামী শুধুমাত্র সফল অভিনেতা নন, বরং দক্ষ ব্যবসায়ীও। তারকাখ্যাতি, কঠিন সংগ্রাম এবং অবশেষে সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছানোর তাঁর এই যাত্রা অধ্যবসায় ও দৃঢ় সংকল্পের এক অনন্য উদাহরণ