আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনায় ভেঙে পড়ল লন্ডনগামী এয়ারইন্ডিয়ার বিমান। ক্রু এবং যাত্রী মিলিয়ে ২৪২ জনের সকলেরই মৃত্যুর আশঙ্কা করছে প্রশাসন। আমদাবাদের সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থেকে ওড়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই ঘটে বিপর্যয়। বোয়িং ৭৮৭ বিমানটি মেঘানিনগরের একটি বাড়ির উপর ভেঙে পড়ে।
2
8
মোট ৩০০ জন যাত্রী নিয়ে উড়তে পারে এই বিমান। লন্ডন যাওয়ার কথা ছিল বিমানটির। প্রচুর পরিমাণ জ্বালানি ছিল বিমানে। তার ফলে ভেঙে পড়ার পর ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয় বলে খবর।
3
8
তবে এই প্রথম নয় এর আগেও বোয়িং সংস্থার বিমান বহুবার ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনায় পড়েছে। টেনেরিফ বিমানবন্দর বিপর্যয় (১৯৭৭) মৃতের সংখ্যা: ৫৮৩ বিমান: দুটি বোয়িং ৭৪৭। এটি শুধু বোয়িং নয়, বিমান পরিবহণের ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। ১৯৭৭ সালের ২৭ মার্চ স্পেনের ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জের টেনেরিফ বিমানবন্দরে দু’টি বোয়িং ৭৪৭ জাম্বো জেটের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ঘন কুয়াশা এবং যোগাযোগের ত্রুটির কারণে এই বিপর্যয় ঘটে।
4
8
পাইলটরা ৩২ মিনিট ধরে কার্যত নিয়ন্ত্রণহীন বিমানটিকে আকাশে ভাসিয়ে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করেন, কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। বিমানটি টোকিও থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে গুনমা প্রদেশের এক পার্বত্য অঞ্চলে আছড়ে পড়ে। এই দুর্ঘটনায় ৫২০ জনের মৃত্যু হয়। আশ্চর্যজনকভাবে, চারজন যাত্রী প্রাণে বেঁচে যান। পরবর্তী তদন্তে জানা যায়, দুর্ঘটনার সাত বছর আগে বিমানটির লেজের একটি ভুল মেরামত করা হয়েছিল, যার কারণেই এই বিপর্যয় ঘটে।
5
8
চরখি দাদরি আকাশপথে সংঘর্ষ (১৯৯৬) মৃতের সংখ্যা: ৩৪৯ বিমান: বোয়িং ৭৪৭-১০০বি ও ইল্যুশিন আইএল-৭৬। এটি পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ আকাশপথে সংঘর্ষের ঘটনা। ১৯৯৬ সালের ১২ নভেম্বর ভারতের হরিয়ানার চরখি দাদরি গ্রামের আকাশে সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন্সের একটি বোয়িং ৭৪৭ এবং কাজাখস্তান এয়ারলাইন্সের একটি ইল্যুশিন আইএল-৭৬ বিমানের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
6
8
এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস ফ্লাইট ৮১২ (২০১০) মৃতের সংখ্যা: ১৫৮ বিমান: বোয়িং ৭৩৭-৮০০। ভারতের মাটিতে ঘটা সবচেয়ে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম। ২০১০ সালের ২২ মে দুবাই থেকে আসা এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের একটি বোয়িং ৭৩৭ বিমান ম্যাঙ্গালোর বিমানবন্দরে অবতরণের সময় রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে। বিমানটি ম্যাঙ্গালোরের ‘টেবিলটপ’ রানওয়েতে অবতরণের সময় পাইলট দেরিতে টাচডাউন করেন।
7
8
রানওয়ের শেষ প্রান্তে গিয়েও বিমানটি থামাতে না পারায় এটি প্রায় ৩০০ ফুট গভীর একটি খাদে পড়ে যায় এবং সঙ্গে সঙ্গে আগুন ধরে যায়। বিমানটিতে ১৬০ জন যাত্রী এবং ৬ জন ক্রু সদস্য ছিলেন। এই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় ১৫৮ জনের মৃত্যু হয়। মাত্র ৮ জন যাত্রী প্রাণে বাঁচেন। পাইলটের ভুল সিদ্ধান্তকেই এই দুর্ঘটনার মূল কারণ হিসেবে দায়ী করা হয়।
8
8
ইউক্রেন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স ফ্লাইট ৭৫২ (২০২০) মৃতের সংখ্যা: ১৭৬ বিমান: বোয়িং ৭৩৭-৮০০। এটি একটি মর্মান্তিক ঘটনা যেখানে একটি যাত্রীবাহী বিমানকে সামরিক হামলায় ভূপাতিত করা হয়। ২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি ইউক্রেন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট ৭৫২ তেহরানের ইমাম খোমেইনি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরেই ভেঙে পড়ে।