আর কয়েক দিনের অপেক্ষা। মুক্তি পেতে চলেছে ‘ধূমকেতু’। ১৩ বছর পর ফের দেব-শুভশ্রীর পুরনো রসায়ন চাক্ষুষের অপেক্ষা ফুরিয়ে এল প্রায়।  সেই ছবির প্রচারের সুবাদেই প্রায় এক দশক পর দক্ষিণ কলকাতার নজরুল মঞ্চে মুখোমুখি হন নায়ক-নায়িকা। আর নস্ট্যালজিয়ার পথ ধরে অতীতে ফেরেন অনুরাগীরা। এক সময় প্রেমের সম্পর্কে ছিলেন দেব এবং শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়। সেই প্রেম ভেঙে বহুকাল। যে যাঁর মতো করে এগিয়েছেন জীবনে। তবু দুই প্রাক্তনের সাক্ষাতের রেশ যেন কাটিয়ে ওঠেনি শহর। আর গোটা ঘটনার সাক্ষী থাকল এই জুটির অনুরাগীদের থিকথিকে ভিড়। এবং অবশ্যই সমাজমাধ্যমে অনুষ্ঠানের লাইভ সম্প্রচার দেখতে থাকা দর্শক। সোমবার সকাল থেকেই নজরুল মঞ্চের বাইরে রাস্তা ছিল ভিড়ে ঠাসা। প্রেক্ষাগৃহের দরজা খুলে দিতেই এক লহমায় তা ভর্তি হয়ে যায় দর্শকে। এরপর প্রেক্ষাগৃহে আলাদাভাবে ঢুকলেও মঞ্চে একসঙ্গে হাজির হন দেব-শুভশ্রী। চারিদিকে শুধুই চিৎকার। এরপর গান, খুনসুটি চলার পাশাপাশি শুরু হয় ‘ধূমকেতু’ নিয়ে কথা। এবং অবশ্যই পরস্পরকে নিয়েও। ছবির প্রচার অনুষ্ঠানে দেব-শুভশ্রী ছাড়াও বাকি কলাকুশলীরা হাজির থাকলেও দেখা যায়নি চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী-কে। অথচ 'ধূমকেতু' ছবিতে তাঁর অভিনীত চরিত্রটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ছবির ঝলকেও তার বলিষ্ঠ প্রমাণ রেখেছেন এই বর্ষীয়ান অভিনেতা। তাহলে কেন তিনি  হাজির হলেন না ধূমকেতুর এই অনুষ্ঠানে? তাঁর কাছেই প্রশ্ন রেখেছিল আজকাল ডট ইন। 

 

প্রশ্ন শুনে সেই অতিপরিচিত ছন্দে চিরঞ্জিতের জবাব, “দেখুন, ‘ধূমকেতু’ ছবিতে আমার অভিনীত চরিত্রটি খুব বেশি বড় নয়। তবে তার মানে এই নয় যে সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ, সেটা ছবি দেখলেই বুঝতে পারবেন দর্শক। আসলে কী হয়েছে, এই ছবির প্রচারের সমস্ত আলোর রেশটুকু ফেলা হচ্ছে দেব-শুভশ্রীর উপর। এত জনপ্রিয় জুটির প্রায় এক দশক পর বড়পর্দায় কামব্যাক, ন্যাচারেলি!”

 

সামান্য থেমে তিনি আরও বলেন, “এই ছবিতে পরিচালক থেকে শুরু করে প্রতিটি অভিনেতা-অভিনেত্রী অনবদ্য কাজ করেছেন।  সবার ক্ষেত্রেই একথা প্রযোজ্য। একজন পরিচালকের দৃষ্টিভঙ্গিতেও যদি দেখি, নির্দেশক কৌশিক গাঙ্গুলি দুরন্ত কাজ করেছেন এই ছবিতে।  আর আমি বরাবরই বলে এসেছি বাংলায় আরও বেশি করে মূলধারার ছবি তৈরির কথা। কারণ তবেই এই ইন্ডাস্ট্রি বাঁচবে, শ্বাস নিতে পারবে। এখন তো বাংলা ছবির বাজার খুব একটা ভাল নয়। খানিক কোণঠাসা-ই বলা যায়। সেখানে এই ছবি টাটকা বাতাস নিয়ে আসবে ইন্ডাস্ট্রিতে, বক্স অফিসে! দেব-শুভশ্রীর জুটি বেঁধে আরও বেশি ছবি করা উচিত বাংলা ইন্ডাস্ট্রির স্বার্থে। দেব আমাকে ফোন করে একবার জানিয়েছিল যে ‘ধূমকেতু’ মুক্তি পাচ্ছে শেষমেশ। শুনে খুব খুশি হয়েছিলাম। এই ছবির যেন সবরকমভাবে ভাল হয়, কায়মনবাক্যে সেই প্রার্থনা-ই করি।”  ধূমকেতু-র ফাইনাল কাট কি দেখেছেন? মৃদু হেসে চিরঞ্জিতের চটপট জবাব, “নাহ, এখনও পর্যন্ত তো নয়।”

 

এক যুগ অপেক্ষার পর অবশেষে পর্দায় জাদুকাঠি ছুঁইয়ে দেবে ‘ধূমকেতু’। আপাতত সেই অপেক্ষাতেই রয়েছেন নায়ক-নায়িকা। ফের কি একসঙ্গে দেখা যাবে তাঁদের? উত্তর দেবে সময়।