সংবাদ সংস্থা মুম্বই: হিন্দি ফিল্মজগতে পারিবারিক ছবির প্রসঙ্গ উঠলেই প্রথম সারিতে যে ছবির নাম আলোচনায় উঠে আসে তা হল 'বাগবান'। ২০০৩ সালে রবি চোপড়ার পরিচালনায় প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ‘বাগবান’। এই ছবিতে বহু দিন পর জুটি বাঁধেন অমিতাভ এবং হেমা। আজও এই ছবির বিভিন্ন সংলাপ নিয়ে আলোচনার শেষ নেই। ছবিতে ছোট্ট চরিত্রে দেখা গিয়েছিল সলমন খানকে। তবে অল্প সময়ের জন্য আসলেও ছবিতে তাঁর অভিনীত চরিত্রটি দর্শকের মন জয় করে নিয়েছিল নিমেষে। সম্প্রতি, এক সাক্ষাৎকারে রবি চোপড়ার স্ত্রী রেণু চোপড়া ফাঁস করেন, এই ছবিতে সলমনকে নেওয়ার কোনও পরিকল্পনাই ছিল না নির্মাতাদের। এমনকি, চিত্রনাট্য লেখার সময়েও একটিবারের জন্যেও রবি চোপড়ার ভাবনায় আসেনি সলমনের কথা। তাহলে কীভাবে ছবিতে এলেন ‘টাইগার’?
রেণুকা চোপড়ার কথায়, “এই ছবি প্রাথমিকভাবে দেখে ছবি পরিবেশকরা বাতিল করে দিয়েছিলেন। তাঁদের মতে, এ ছবির গল্প পুরোনো খেয়ালের। তার উপর অমিতাভ বচ্চনের কেরিয়ারের সময়ও খুব একটা ভাল যাচ্ছিল না। এর আগে সবে ‘মহব্বতেঁ’র মতো একটা হিট দিয়েছিলেন উনি। 'হেমা মালিনীও বহুদিন পর পর্দায় ফিরেছেন। তখন এক ভদ্রলোক রবিকে বুদ্ধি দিলেন এই ছবিতে যেভাবে হোক সলমনকে দিয়ে অতিথি শিল্পী হিসাবেও অভিনয় করানো যায়, তাহলে সবাই উৎসাহিত হবে। কথাটা মনে ধরে রবির। সলমনকে ফোনে জানাতেই রবিকে ওঁর বাড়িতে ডেকে নেন সলমন।”
খানিক থেমে তিনি আরও বলেন, “সলমনের মতো এত সহজ জীবন যাপন করতে এই ইন্ডাস্ট্রিতে আর কাউকে দেখিনি আমি। সলমন থাকে তো মাত্র দু'টি ঘুপচি কামরায়। একটা বসার ঘর আর একটা ওঁর শোয়ার ঘর। রবি গেল। সেইসব ঘরের সঙ্গেই লাগোয়া সলমনের জিম। রবি গিয়ে দেখল সলমনের তিন ভাই কেউ অনাবৃত ঊর্ধাঙ্গে, কেউ বা ছোট্ট ছোট্ট শর্টস পরে জিম থেকে ঘরের মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। সলমনেরও সেরকম অবস্থা। রবির থেকে গল্প শুনেই এককথায় রাজি হয়ে গেলেন সলমন। এই এতটুকু তো চরিত্র ওই ছবিতে, শুনেও কোনও গাঁইগুঁই করেননি সলমন। কেন? উনি রবিকে জানিয়েছিলেন, পরিবার তাঁর অন্তঃপ্রাণ। আর রবির ভাবনার সঙ্গে তাঁর ভাবনার খুব মিল। ‘বাগবান’-এ তাঁর অভিনীত চরিত্রটির মতোই বাবা-মায়ের রীতিমতো পুজো করেন তিনি। তাই এককথায় সলমন রাজি হয়ে গিয়েছিলেন বেগবান-এ কাজ করার ব্যাপারে। এবং হ্যাঁ, একটিবারের জন্যেও কিন্তু সলমন জিজ্ঞেস করেননি কত টাকা পারিশ্রমিক ওঁকে দেওয়া হবে... ‘বাগবান’ প্রথম চারদিন বক্স অফিসে চলেনি। কিন্তু যেই একবার চলতে শুরু করল তারপর আর আটকানো যায়নি এই ছবিকে।”
