সংবাদ সংস্থা মুম্বই: কিশোর কুমারের বর্ণময় জীবনের চিরকিশোর সব গল্প আজও বলিপাড়ায়। পাশাপাশি বলিউডে অন্যতম চর্চিত কিশোর কুমার ও মধুবালার দাম্পত্যের কথা। মধুবালার বোন মধুর ভূষণের দাবি, জীবনের শেষের দিনগুলিতে নাকি মধুবালার থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে নিয়েছিলেন কিশোর কুমার। প্রয়াত অভিনেত্রীর ফোন ধরতেন না।
আরও জানিয়েছিলেন, জীবনের শেষ দিনগুলোতে মধুবালা নাকি কিশোরের সঙ্গ পাওয়ার জন্য ছটফট করতেন, তবু কিশোর আসতেন না। মধুর ভূষণের কথায়, “মধুবালার হৃদ্যন্ত্রে গুরুতর সমস্যা ছিল। পরে যখন তা ধরা পড়ে তখন অনেক দেরি হয়ে গিয়েছিল। চিকিৎসার জন্য কিশোর তাঁকে লন্ডন উড়িয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। ডাক্তাররা মধুবালার শারীরিক অবস্থা দেখে জানিয়েছিলেন, তাঁর হৃদযন্ত্রের অবস্থা খুব খারাপ। বড়জোর আর দু’বছর কোনওরকম বাঁচবেন অভিনেত্রী। এরপর দেশে ফিরে আসেন তাঁরা। সেই কঠিন সময়ে স্বামীর সাহচর্য চেয়েছিলেন মধুবালা। কিন্তু কিশোরদা বলেছিলেন, “আমি তো ওঁর চিকিৎসার জন্য লন্ডন পর্যন্ত উড়ে গিয়েছি। ডাক্তাররা ওকে দেখে জানিয়েছেন যে ও আর বেশিদিন বাঁচবে না। আর কী করব?”
প্রসঙ্গত, কিশোর কুমারের প্রথম স্ত্রী ছিলেন রুমা গুহ ঠাকুরতা। ১৯৫০-১৯৫৮, আট বছর স্থায়ী হয়েছিল তাঁদের দাম্পত্য।রুমার সঙ্গে বিচ্ছেদের আগেই মধুবালার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন কিশোর কুমার। ১৯৬০ সালে তিনি বিয়ে করেন নায়িকাকে। কিন্তু গঙ্গোপাধ্যায় পরিবার এই বিয়ে মেনে নেয়নি। ওদিকে কিশোর কুমার এবং মধুবালার দাম্পত্য খুব একটা সুখের হয়নি। ১৯৬৯ সালে মাত্র ৩৬ বছর বয়সে প্রয়াত হন মধুবালা।
উল্লেখ্য, এই প্রসঙ্গে বেশ কিছুদিন আগে মধুবালার বোনকে একহাত নিয়েছেন গায়ক তথা মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। “সত্যিটা হল, মধুবালাজির হৃদ্যন্ত্রে সমস্যা ছিল। কিশোর কুমারের বাড়ি ছিল সান্তাক্রুজ় বিমানবন্দরের কাছে। সেই বাড়ির খুব কাছ থেকেই বিমান টেক অফ করত। ফলে সেই আওয়াজে মধুবালাজির শারীরিক অসুবিধা হত। সেই জন্যই কিশোর কুমারের বাড়ি থেকে ওঁকে ওঁর পূর্বপুরুষের বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল।”
