সংবাদ সংস্থা মুম্বই: চকচকে গ্ল্যামার দুনিয়ার আড়ালে থেকে যায় অনেক না বলা কষ্টের গল্প। ঠিক তেমনই নিজের জীবনের কঠিন অধ্যায়ের কথা বললেন অভিনেত্রী ডায়ানা পেন্টি। কলেজে পড়ার সময় মুম্বইয়ের লোকালে যাতায়াত করতে গিয়ে প্রতিদিন কটূক্তি, শারীরিক অস্বস্তি, যৌন হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে তাঁকে। এক সাক্ষাৎকারে ডায়ানা বলেন, “আমি সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে পড়তাম। বাইকুল্লা থেকে ভিটি পর্যন্ত সেন্ট্রাল লাইনের ট্রেনে যেতাম, তারপর হেঁটে কলেজ। রোজ হতো কটূক্তি, লোকজন ইচ্ছে করে স্তনে কনুইয়ের খোঁচা মারত। এটা তখনকার দিনে একটা ‘ডেইলি রুটিন’ ছিল।”
তিনি আরও বলেন, “আমি তখন খুব লাজুক, আত্মবিশ্বাসহীন, অস্বস্তিতে ভরা একটা মেয়ে ছিলাম। তার উপর এসব ঘটনা আমাকে ভিতর থেকে কুঁকড়ে দিত। এতটাই ভয় পেতাম যে কনুইয়ের ধাক্কা খাওয়ার পর তাঁকে পাল্টা ধাক্কা দিয়ে নিজেকে বাঁচানোর মতো সাহস ছিল না।”
তবে শুধুই ট্রেনযাত্রার ঝামেলা নয়, ছোটবেলা থেকেই গায়ে লেগে ছিল ‘অতিরিক্ত রুগ্ণতা’র অপবাদ। ডায়ানার কথায়, “আমি ছোটবেলায় খুব রোগা ছিলাম। ছ’–সাত বছর আগেও একই রকম ছিলাম। সবাই বলত, ‘তুই কিছু খাস না?’ মায়ের কাছে গিয়ে পর্যন্ত বলত, ‘আপনার মেয়ে খায় না কেন?’ মা রেগে যেত। একটা ছোট মেয়ে যখন বারবার এসব শুনতে শুনতে বড় হয়, তখন তার মধ্যে একটা রাগ, লজ্জা, অপমান জমা হতে থাকে। এটা আমাকে ভিতর থেকে দাগ কেটে দিয়েছিল।” একবার এক পেডিয়াট্রিক ডায়েটিশিয়ানের পরামর্শে তাঁকে দিনে ৬টা কলা খাওয়ানো হত! ডায়ানা বলেন, “আমি কোনওরকমে চারটে কলা খেতে পারতাম। তাও কোনও পরিবর্তন আসেনি। আমি সারাজীবন নিজের ওজন বাড়ানোর চেষ্টা করে গিয়েছি।”
নিজের শারীরিক গঠন নিয়ে এতটাই অস্বস্তিতে ভুগতেন যে স্লিভলেস পোশাক পরতেন না, বরং অতিরিক্ত কাপড় পরেই নিজেকে অন্যদের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করতেন।
বর্তমানে ডায়ানাকে দেখা যাচ্ছে ‘ডিটেকটিভ শেরদিল’ ছবিতে, যেখানে তাঁর সঙ্গে রয়েছেন দিলজিৎ দোশাঞ্জ, বোমান ইরানি, চাঙ্কি পাণ্ডে ও বানিতা সন্দু। এ ছবির স্ট্রিমিং শুরু হয়েছে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। সইফ আলি খান এবং দীপিকা পাড়ুকোনের সঙ্গে ‘ককটেল’ ছবিতেও দেখা গিয়েছিল তাঁকে। এছাড়াও তিনি অভিনয় করছেন ‘সেকশন ৮৪’ নামক ছবিতে, যেখানে মুখ্যভূমিকায় আছেন অমিতাভ বচ্চন ও নিমরৎ কৌর। ছবিটির মুক্তির দিন এখনও ঘোষণা হয়নি।
