সংবাদ সংস্থা মুম্বই: ‘ওমকারা’ ছবিতে ‘ল্যাংড়া ত্যাগী’র চরিত্রে সকলকে তাক লাগিয়ে দেন সইফ আলি খান। শক্তিশালী অভিনেতা হিসাবে বলিপাড়ায় নিজেকে নতুনভাবে প্রতিষ্ঠিত করেন তিনি। কিন্তু এই ছবি ও চরিত্রটি ঘিরে একটি বড় আক্ষেপ রয়ে গিয়েছে অভিনেতার। আরও ভাল করে বললে নগ্ন না হওয়ার আফশোস!
একথা নিজেই ফাঁস করেছিলেন সইফ। এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, ছবিতে একটি বিশেষ দৃশ্যে নগ্ন হলে সেই দৃশ্যের অভিঘাত অন্য মাত্রা পাবে বলে মনে করেছিলেন পরিচালক বিশাল ভরদ্বাজ। প্রয়োজনে ওই দৃশ্যে যে সংলাপ ছিল, তা-ও বাদ দিতে রাজি ছিলেন বিশাল। অভিনেতার কথা মাথায় রেখে পুরো দৃশ্যটি কম আলোয় পিছন থেকে শুটের কথা ভেবেছিলেন পরিচালক। কিন্তু নগ্ন হওয়ার প্রস্তাব শুনেই পত্রপাঠ না করে দিয়েছিলেন সইফ। তবে খানিক পরে পরিচালককে একটি শর্ত দিয়েছিলেন, যা মানা হলে তিনি নগ্ন হবেন। কী সেই শর্ত? বলেছিলেন, ‘‘শোনো, আমি নগ্ন হলে, তোমাকে (পরিচালক) আর চিত্র নির্দেশক তাসাদুদকে নগ্ন হতে হবে।’’ কিন্তু সইফের প্রস্তাবে রাজি হননি বিশালও। কড়াভাবে জবাব দিয়েছিলেন, “আমি নগ্ন হয়ে কেন পরিচালনা করব? ওসব আমি পারব না।" সইফের তৎক্ষণাৎ জবাব ছিল, “বাহ্ রে! তুমি যেখানে নগ্ন হতে চাইছি না, আমি তাহলে কেন হব?” এর পর সইফও আর নগ্ন হয়ে ক্যামেরার সামনে আসেননি। কিন্তু পরবর্তী কালে সেই নিয়ে আক্ষেপ করেছেন ল্যাংড়া ত্যাগী’।
সইফ জানিয়েছিলেন, তখন সময়টা একটু অন্যরকম ছিল। বলিউড আজকের মতো এতটা সাহসী ছিল না। তাই গ্রহণ করতে সমস্যা হয়েছিল। কিন্তু করতে পারলে মন্দ হতো না। সইফের কথায়, “পরবর্তী সময়ে 'দোস্তানা' ছবিতে জন আব্রাহাম নিতম্বের উর্ধাংশে দেখাতেই চমকে উঠেছিল আসমুদ্রহিমাচল। আমি যদি ওমকারা-য় ওই ব্যাপারটি করতাম, তাহলে বলিউডে আমি-ই প্রথম নায়ক হতাম যে পর্দায় নগ্ন হয়েছিল।”
