সংবাদ সংস্থা মুম্বই:‘হাউজফুল ৫’-এর মজার দুনিয়া পেরিয়ে এবার একেবারে অন্য রকম ভূমিকায় অভিষেক বচ্চন। পরিচালক মধুমিতার আসন্ন ছবি ‘কালিধর লাপতা’তে এক মধ্যবয়স্ক, স্মৃতিভ্রষ্ট, উপেক্ষিত জীবনের ভার বয়ে চলা মানুষের চরিত্রে দেখা যাবে তাঁকে। ছবির নামভূমিকায় অভিষেক—কালিধর, যাঁর জীবনজুড়ে রয়েছে বিস্মৃতি, ত্যাগ আর সম্পর্কের ছায়া।
ঘটনা মোড় নেয় যখন কালিধর শুনে ফেলেন তাঁর ভাই-বোনেরা তাঁকে ফেলে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে কুম্ভমেলার ভিড়ে। তবে ফেলে যাওয়ার আগেই তিনি নিজেই নিরুদ্দেশ হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। আর ঠিক সেই সময়েই তাঁর জীবনে হাজির হয় বল্লু—এক আট বছরের রাস্তায় বড় হওয়া ঠোঁটকাটা, তীক্ষ্ণ বুদ্ধির শিশু। আর সেই অপ্রত্যাশিত সাক্ষাৎ গড়ে তোলে জীবনের নতুন সংজ্ঞা।
অভিষেক বচ্চনের কথায়,“এ ছবির চিত্রনাট্য প্রথমবার পড়েই আমার হৃদয় ছুঁয়ে গিয়েছিল। কালিধরের মতো এক ভাঙা, শিশুসুলভ অথচ অবিশ্বাস্যরকম মানবিক চরিত্রে অভিনয় করাটা ছিল আত্ম-অনুসন্ধানের মতো। বল্লুর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক এমন কিছু মুহূর্ত তৈরি করেছে, যা শুধু পর্দায় নয়, আমার ব্যক্তিগত জীবনেও গভীর ছাপ ফেলেছে।” তিনি আরও বলেন, “জীবন শুধু বছর দিয়ে নয়, মাপা উচিত সম্পর্ক, সাহস আর সত্যের মুহূর্তে। আমি কিছু বছর ধরেই এমন সিনেমার খোঁজে ছিলাম, যেগুলোতে গভীরতা আছে, মানে আছে। ‘কালিধর লাপাত্তা’ আমার সেই পথচলার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়।”
পরিচালিকা মধুমিতা বললেন,“এই ছবির মাধ্যমে আমি বলতে চেয়েছি এমন এক গল্প, যা একই সঙ্গে ব্যক্তিগত আবার সার্বজনীন। কালিধরের মধ্যে আমরা দেখতে পাই সমাজে অবহেলিত অথচ এক আশ্চর্য কোমলতা নিয়ে বেঁচে থাকা এক মানুষকে। আর বল্লু হয় তাঁর আয়না—এক আশ্চর্য বন্ধুত্বের জন্ম দেয় যা বিশ্বাস, সাহস আর চেতনায় ভরপুর।”
তিনি আরও যোগ করেন, “অভিষেক আর ছোট্ট অভিনেতা দৈবিক ভাগেলার মাঝে যে সহজাত রসায়ন ফুটে উঠেছে, তা পর্দায় এক অনবদ্য আন্তরিকতার ছবি আঁকে। এই ছবি শুধু গল্প নয়, বরং একধরনের আত্মজিজ্ঞাসা—‘প্রকৃত দেখা’ আর ‘অগ্রহণযোগ্যতার ভিতরে গ্রহণযোগ্যতা’র অনুভব।”
