আজকাল ওয়েবডেস্ক: সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে একটি সংবাদ দাবী করে যে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া পুরনো ৫০০ ও ১,০০০ টাকার নোট বদলের নতুন নির্দেশিকা জারি করেছে, যেগুলো ২০১৬ সালের নভেম্বর মাসে নোটবন্দির সময় বাতিল করা হয়েছিল। কিন্তু এই খবরটি সম্পূর্ণ ভুয়ো বলে জানিয়েছে প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো (PIB)-এর ফ্যাক্ট চেক টিম। সরকারি সংস্থাটি তাদের এক পোস্টে (X, পূর্বে টুইটার) জানিয়েছে যে, এমন কোনো নতুন নোটবদলের নিয়ম বা বিজ্ঞপ্তি আরবিআই প্রকাশ করেনি।
PIB-এর ফ্যাক্ট চেক টিম স্পষ্টভাবে বলেছে— “এই দাবিটি মিথ্যা। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া কোনোভাবেই পুরনো ৫০০ বা ১,০০০ নোট বদলের জন্য নতুন নির্দেশিকা দেয়নি।” তারা নাগরিকদের অনুরোধ করেছে, এমন ভুয়ো বার্তা বা খবর শেয়ার করার আগে অবশ্যই সরকারি উৎস থেকে তথ্য যাচাই করতে।
सोशल मीडिया पर प्रसारित एक न्यूज आर्टिकल में दावा किया जा रहा है कि भारतीय रिजर्व बैंक (@RBI) ने ₹500 और ₹1000 के पुराने बंद हो चुके नोट बदलने के लिए नए नियम जारी किए हैं।#PIBFactCheck
— PIB Fact Check (@PIBFactCheck)
✅ यह दावा #फर्जी है। आरबीआई ने ऐसा कोई नियम जारी नहीं किया है।
▶️ कृपया वित्तीय नियमों… pic.twitter.com/Z0FXECXzWJTweet by @PIBFactCheck
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক নিয়মিতভাবে তার সব নীতি, বিজ্ঞপ্তি এবং পরিবর্তন সম্পর্কে আপডেট দেয় অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে — rbi.org.in। তাই নাগরিকদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যেন তারা কেবলমাত্র আরবিআই-এর অফিসিয়াল যোগাযোগ মাধ্যম বা সরকারি ভেরিফায়েড হ্যান্ডেলগুলোর ওপর নির্ভর করেন। কোনো সন্দেহজনক বার্তা, ছবি বা ভিডিও পেলে তা অবিলম্বে সাইবার ক্রাইম পোর্টাল বা সংশ্লিষ্ট সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে রিপোর্ট করতে বলা হয়েছে।
এদিকে, ২০২৫ সালের আগস্ট মাসে অর্থ মন্ত্রক জানিয়েছিল যে, ছোট মুদ্রার প্রাপ্যতা বাড়াতে আরবিআই একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশিকা জারি করেছে। সেই অনুযায়ী, সব ব্যাঙ্ক এবং হোয়াইট লেবেল এটিএম অপারেটরদের ২০২৫ সালের ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে কমপক্ষে ৭৫ শতাংশ এটিএমে ১০০ বা ২০০ টাকার নোট বিতরণের ব্যবস্থা করতে হবে, এবং ২০২৬ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে তা ৯০ শতাংশে উন্নীত করতে হবে।
অনেকে প্রশ্ন তুলছেন ২,০০০ টাকার নোট কি এখনও বৈধ?
২০২৩ সালের ১৯ মে, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ঘোষণা করেছিল যে তারা ২,০০০ টাকার নোট প্রচলন থেকে প্রত্যাহার করছে। তবে আরবিআই পরিষ্কারভাবে জানিয়েছে, ২,০০০ নোট এখনও বৈধ আইনানুগ মুদ্রা। অর্থাৎ এই নোট দিয়ে লেনদেন করা যাবে, যদিও এটি আর নতুন করে মুদ্রিত বা প্রচলিত হচ্ছে না।
যারা এখনও ২,০০০ টাকার নোট হাতে রেখেছেন, তারা নির্দিষ্ট আরবিআই ইস্যু অফিসে তা জমা দিতে বা বদল করতে পারেন। নাগরিকদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, নিকটবর্তী আরবিআই আঞ্চলিক অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করে বর্তমান প্রক্রিয়া সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করতে।
আরও পড়ুন: সোনার ভবিষ্যৎ নিয়ে সকলেই চিন্তিত, বছরের শেষ দু’মাসে কী হবে
এছাড়া, পুরনো, ছেঁড়া বা আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত নোট সব ব্যাঙ্ক শাখায় বদলানো যায়। আরবিআই-এর নিয়ম অনুযায়ী, যদি কোনো নোট অত্যন্ত ভঙ্গুর, পুড়ে যাওয়া বা এমনভাবে একসাথে আটকে যায় যে তা আর আলাদা করা সম্ভব নয়, তাহলে সেই নোট ব্যাঙ্ক বদলাবে না। এমন নোট আরবিআই-এর নিকটতম ইস্যু অফিসে জমা দিতে হবে, যা রিজার্ভ ব্যাঙ্কের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে তালিকাভুক্ত রয়েছে।
সবশেষে, PIB ও আরবিআই উভয়েই সাধারণ মানুষকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে। ভুয়ো খবর বা বিভ্রান্তিকর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পোস্টে বিশ্বাস না করে, শুধুমাত্র সরকারি সূত্রে প্রকাশিত তথ্যেই নির্ভর করতে হবে — এটাই নিরাপদ ও সঠিক উপায়।
