আজকাল ওয়েবডেস্ক: দেশজুড়ে চাকরির আকাল। মনের মতো চাকরি পেতে নাভিশ্বাস ওঠে।। তাই শিক্ষিত যুবকরা এখন ব্যবসার দিকে ঝুঁকছে। উল্লেখযোগ্য যে, সরকারও তরুণদের ব্যবসা শুরু করতে উৎসাহিত করছে। এই প্রতিবেদনে এমন একটি ব্যবসায়িক ধারণা নিয়ে আলোতপাত করা হবে যা প্রতিটি ঋতুতে চলতে পারে। হ্যাঁ, স্বল্প বিনিয়োগে আপনি আপনার বাড়িতে বসেই, তা সে যেকোনও শহরেই হোক না কেন, সহজেই এটি শুরু করতে পারেন।

আমরা আটার ব্যবসার কথা বলছি। দেশের বেশিরভাগ রাজ্যে রুটি ছাড়া খাবার অসম্পূর্ণ। তাই, আটার চাহিদা কখনই কমতে পারে না। আসুন জেনে নেওয়া যাক কীভাবে এই ব্যবসা শুরু করবেন। খরচ, যন্ত্রপাতি, বিনিয়োগ এবং সরকারি সহায়তার কী বন্দোবস্ত রয়েছে?

আটার ব্যবসা
ব্যস্ততার যুগ। অফিসেই কেটে যায় বেশিরভাগ সময়। রান্না সুয়োগ কম। কিন্তু, মানুষ ভাল খেতে চায়, সেই কারণে এই ব্যবসাটি আয়ের দিক থেকে ভাল। গম ছাড়াও, আপনি জোয়ার, বাজরা, শস্য কিনে- সেগুলি পেশাই করে আটা হিসাবে বিক্রি করেও আয় করতে পারেন। 

চাহিদা, ঋতু অনুসারে পরিবর্তিত হয়। যেকোনো শস্যের কাঁচামাল গ্রামাঞ্চলে এবং তার আশেপাশে সহজেই পাওয়া যাবে। আপনি প্রচুর পরিমাণে কিনে গুদামে সংরক্ষণ করতে পারেন। যাতে মরশুমে দাম বাড়লে আপনার ব্য়বসার অসুবিধা না হয়।  

ব্যবসার যন্ত্রপাতির জন্য আপনাকে কত খরচ করতে হতে পারে?

ময়দা পেষণকারী মেশিন (পালভারাইজার) ১৬,৬০০ টাকা
ডাবল স্টেজ (পালভারাইজার) ১৭,৮০০ টাকা
রোস্টার ২০,৫০০ টাকা
গ্যাস সংযোগ ১০,০০০ টাকা
ওজন স্কেল ৮০০০ টাকা
সিলিং মেশিন ৩০০০ টাকা
পাত্র ৬০০০ টাকা

ভাল কথা হল, যন্ত্রপাতি স্থাপন করে ব্যবসা শুরু করার পর, আপনি নিজেই ধারণা পাবেন যে কত ময়দা গুঁড়ো করতে হবে, যাতে যত সরবরাহ থাকবে, তত বেশি ময়দা উৎপাদন করতে হবে।

আয় কত হবে?

কেউ যদি প্রতি মাসে ১,১৫,০০০ টাকার মাল বিক্রি করে, তাহলে মাসিক খরচ হবে ১০,০০০ টাকা। অর্থাৎ লাভের অঙ্ক ১,০৫,০০০ টাকা। তবে, যদি বিনিয়োগ কম হয়, তাহলে চিন্তা করবেন না- কারণ আপনি এই ব্যবসা শুরু করার জন্য সরকারের কাছ থেকে ঋণও নিতে পারেন। যার জন্য আপনাকে জেলা প্রশান বা কর্পোরেশনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।