আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভারতে সোনার ব্যবসা বিভিন্ন রূপে হয়, যার মধ্যে রয়েছে সশরীরে এবং ডিজিটাল উভয় রূপেই। মানুষ গয়না, মুদ্রা, বার এবং বিনিয়োগ সম্পদের আকারে সোনার ব্যবসা করে। একই সঙ্গে, সরকার শুল্ক/শুল্কের মাধ্যমে সোনার ব্যবসাকে সতর্কতার সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ করে। কাস্টম ডিউটি ​​হল এক ধরণের কর, যা অন্যান্য দেশ থেকে আমদানি করা জিনিসের উপর আরোপিত হয়।

একইভাবে, যখন অন্যান্য দেশ থেকে ভারতে সোনা আনা হয়, তখন এর উপরও কাস্টম ডিউটি ​​আরোপ করা হয়। আপনি যদি ভারতে সোনা আনেন, তাহলে শূন্য কাস্টম ডিউটির একটি সীমা রয়েছে, যদি আপনি এর চেয়ে বেশি সোনা আনেন, তাহলে আপনাকে শুল্ক দিতে হবে।

আপনাকে বলতে হবে যে আপনি কত সোনা এনেছেন

একজন ব্যক্তি বিদেশ থেকে ভারতে যেকোনও ধরণের সোনার গয়না, মুদ্রা বা বার আনতে পারেন। তবে, আপনাকে কাস্টম ডিউটি ​​কিয়স্কে এই সোনার জিনিসপত্রের পরিমাণ ঘোষণা করতে হবে। এর পরে, কাস্টম ডিউটি ​​অফিসার সোনার পরিমাণ অনুসারে প্রযোজ্য কাস্টম ডিউটি ​​গণনা করবেন।

কিন্তু এটা সত্য নয় যে আপনি যত সোনাই আনুন না কেন আপনাকে শুল্ক দিতে হবে। তবে একটি নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত সোনা আনলে এই ফি নেওয়া হয় না।

পুরুষদের জন্য সীমা এবং শুল্ক কত?

পুরুষ যাত্রীরা বিদেশ থেকে ২০ গ্রাম বা ৫০,০০০ টাকা মূল্যের শুল্কমুক্ত সোনা আনতে পারবেন। তবে, সোনার দাম প্রায় ১ লক্ষ টাকা, তাই ২০ গ্রামের সীমা আর বাস্তবসম্মত নয়।

২০ থেকে ৫০ গ্রাম সোনা আনার ক্ষেত্রে ৩ শতাংশ কাস্টম শুল্ক প্রযোজ্য।
৫০ থেকে ১০০ গ্রামের সোনা আনার ক্ষেত্রে ৬ শতাংশ কাস্টম শুল্ক প্রযোজ্য।
১০০ গ্রামের বেশি সোনা আনার ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ কাস্টম শুল্ক প্রযোজ্য।

মহিলাদের জন্য নিয়ম কী?

মহিলা যাত্রীরা ৪০ গ্রাম বা ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত সোনা কোনও শুল্ক ছাড়াই আনতে পারবেন। কিন্তু সোনার দাম বেশি হওয়ার কারণে, ৪০ গ্রামের সীমা এখানেও আর কার্যকর নেই।

৪০ থেকে ১০০ গ্রাম সোনার উপর ৩ শতাংশ শুল্ক প্রযোজ্য।

১০০ থেকে ২০০ গ্রাম সোনার উপর ৬ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়।

২০০ গ্রামের বেশি আমদানি করা সোনার উপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়।

শিশুদের জন্য নিয়ম

১৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে মহিলা ভ্রমণকারীদের মতোই একই শুল্ক নিয়ম প্রযোজ্য। তবে, ক্রয়ের প্রমাণ হিসেবে তাদের অবশ্যই নথিপত্র বহন করতে হবে।

আরও পড়ুন-  ৯ হাজার মাসিক বিনিয়োগ, ২৫ বছর থেকে এসআইপি-তে জমালে অবসরে কত মূলধন হবে?