আজকাল ওয়েবডেস্ক: কর্মস্থলে মহিলারা আজকের দিনে দাপটের সঙ্গেই কাজ করেন। তারা কোনও অংশে পুরুষদের থেকে কম যান না। তবে অফিসে মহিলাদের কেন বেশি শীত করে।
অফিসের এসিগুলি ১৯৬০ সালের ফর্মুলা মেনে বসানো এবং চালানো হয়। সেখানে একজন ৪০ বছরের ব্যক্তির মতামতকে মেনে চলা হয়। সেই ব্যক্তি সর্বদাই গায়ে গরম কিছু চাপিয়ে রাখেন যাতে তার শীত না করে। তারপর তিনি এসির তাপমাত্রা অনেকটা কমিয়ে দেন। ফলে অফিসে থাকা মহিলাদের বেশি শীত করে।
প্রকৃতিগতভাবে মহিলারা ২৫ ডিগ্রি শীত পছন্দ করেন। সেখানে পুরুষরা ২২ ডিগ্রি শীত পছন্দ করেন। ফলে পুরুষদের কাছে যে তাপমাত্রা কিছুই নয়, সেখানে মহিলারা সেই একই তাপমাত্রায় বেশি শীত অনুভব করেন।
প্রতিবছর গরমের সময় অফিসগুলি নিজেদের এসিগুলি সারানোর ব্যবস্থা করে। ফলে সেগুলি গরমের সময় বেশি ঠান্ডা হাওয়া দেয়। ফলে বাইরের গরম থেকে আসা মহিলারা অফিসের পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে না। তাদের শীত বেশি লাগে।
সমীক্ষা থেকে দেখা গিয়েছে মহিলারা গরম পরিবেশে অনেক বেশি সুস্থ হয়ে কাজ করতে পারেন। অন্যদিকে যত শীতের মাত্রা বাড়তে থাকবে ততই তাদের পারফরমেন্স খারাপ হতে শুরু করে।
ভারতের বেশিরভাগ অফিসে একটি নির্দিষ্ট এসির তাপমাত্রা বজায় রাখে। এটি সেই অফিসের পুরুষ কর্তা নিজের বাকি পুরুষ সহকর্মীদের কথা ভাবলেও মহিলা সহকর্মীদের প্রতি একেবারেই মন দেন না।
ভারতের প্রতিটি অফিসে এসি চালানোর একটি নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। সেখানে ২৪ ডিগ্রিতে এসি চালানোর কথা বলা হয়েছে। তবে বেশিরভাগ অফিস এই নিয়ম মেনে চলে না।
একটি বিরাট জায়গা নিয়ে অফিস চলে। সেখানে একটি সেন্ট্রাল এসি চলে। ফলে প্রতিজনের জন্য আলাদা করে তাপমাত্রা বজায় রাখা যায় না। একই তাপমাত্রা যেখানে একজনকে স্বস্তি দেয় সেটি অন্যজনের কাছে অসুবিধার কারণ হয়ে থাকে।
একজন ব্যক্তির দেহের মাংসপেশী এমনভাবে তৈরি থাকে যে সেখান থেকে অনেক বেশি তাপ উৎপন্ন হয়। সেখানে মহিলাদের উত্তাপ কম থাকে। তারা অতিরিক্ত শীতে তাই কাবু হয়ে পড়ে।
বর্তমানে কিছু অফিসে প্রতিটি ব্যক্তির জন্য আলাদা পাখার ব্যবস্থা রয়েছে। রয়েছে আলাদা বসার জায়গা থেকে শুরু করে ড্রেস কোড। তবে বেশিরভাগ অফিসেই এগুলি থাকে না।
