আজকাল ওয়েবডেস্ক: সীমান্তের বিভিন্ন জায়গায় বিগত কয়েক দিন ধরেই ভারত নিজেদের জমিতে কাঁটাতারের বেড়া দিচ্ছে। কিন্তু, সহ্য হচ্ছে না বাংলাদেশের। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে বিভিন্ন সময়। পরিস্থিতি সামলেছে বিএসএফ, বিডিআর-এর সঙ্গে বৈছকও করেছে। ওপারের বাধায় আমল না দিয়ে নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড় ভারত। তাতেই আরও জ্বলুনি ধরেছে প্রতিবেশী রাষ্ট্রে। সীমান্তে বিরোধের মাঝেই তাই রবিবার তলব করা হয়েছিল ঢাকায় ভারতীয় রাষ্ট্রদূত প্রণয় ভর্মাকে। 

ঢাকার দাবি, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের পাঁচ জায়গায় দ্বিপাক্ষিক চুক্তি লংঘন করে কাঁটাতারের বেড়া লাগানো হচ্ছে। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মহম্মদ জাহাঙ্গির আলম চৌধুরীর বক্তব্য, ভারতের সঙ্গে সীমান্ত নিয়ে চারটি সমঝোতা স্মারক সই করেছিল বাংলাদেশ। সেই মোতাবেক, নো ম্যানস ল্যান্ডের থেকে ১৫০ গজ ভিতরেই কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া যায়। কিন্তু ভারত তা করছে না। 

এরপরই সমন ধরানো হয় ঢাকায় ভারতীয় রাষ্ট্রদূত প্রণয় ভর্মাকে। দুপুরেই তাঁকে বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকে প্রবেশ করতে দেখা গিয়েছে। সেদেশের বিদেশ সচিব জসীম উদ্দিনের সঙ্গে দীর্ঘ প্রায় ৪৫ মিনিট মতো বৈঠক হয়েছে ভারতীয় রাষ্ট্রদূত ভর্মার। তবে আলোচনার বিষয় সম্পর্কে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি। 

সম্প্রতি সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া লাগানোকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায়। দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট ব্লকের ভাটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের শিবরামপুরে বিএসএফ-কে কাঁটাতার দিতে বাধা দেয় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ। এই শিবরামপুর এলাকায় কয়েক'শ মিটার উন্মুক্ত। সেখানে সীমান্তের পাশেই একটি ভারতীয় গ্রাম রয়েছে। সেখানও কোনও কাঁটাতার নেই। এই আবহে উন্মুক্ত সীমান্ত এবং সেই গ্রামের আশেপাশে কাঁটাতার দেওয়ার জন্য উদ্যোগ নেয় বিএসএফ। তবে সেই কাজ শুরু হতেই বন্ধ করেছিল বিজিবি। 

এরপর মালদা বৈষ্ণবনগরের এক ব্যক্তি অভিযোগ করেন, সুকদেবপুর সীমান্তে কাঁটাতার দেওয়া হলে নাকি বিজিবি গুলি করবে বলে হুমকি দিয়েছে। পাশাপাশি নদিয়ার কোদালিয়া নদীর অংশে ৫ কিলোমিটার এলাকা নিয়েও বিবাদ দেখা দেয় দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে। বিএসএফ-এর বক্তব্য ছিল, যে এলাকা নিয়ে এত চর্চা, সেটা ভারতীয় দিকে আছে। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার রানাঘাটের বাগদা ব্লকে এই এলাকা অবস্থিত। এখানে কোদালিয়া নদীর সঙ্গে আন্তর্জাতিক সীমান্ত আছে। সীমান্তের দু'দিকেই রেফারেন্স পিলারের দ্বারা এটা চিহ্নিত করা হয়েছে। মেখলিগঞ্জেও সমস্যা তৈরি হয়েছিল।