শনিবার ১২ অক্টোবর ২০২৪
সম্পূর্ণ খবর
Reporter: নিজস্ব সংবাদদাতা | লেখক: Rahul Majumder | Editor: শ্যামশ্রী সাহা ১০ আগস্ট ২০২৪ ১৩ : ৩৩Rahul Majumder
সংবাদ সংস্থা মুম্বই: চলতি মাসেই ৭৭তম স্বাধীনতার দিবসের উদযাপনে মেতে উঠবে আসমুদ্রহিমাচল ভারত। আর মনের এক কোণে জমিয়ে বসে থাকা দেশাত্মবোধকে নিমিষে গা ঝেড়ে উঠে দাঁড়াতে সাহায্য করতেই পারে একমুঠো হিন্দি ছবি। যেসব ছবি দেখে তেরঙ্গাকে স্যালুট জানানোর পাশাপাশি আবেগের বসে গুনগুন করে গেয়েও উঠতে পারেন দেশাত্মবোধের সুর জড়ানো সব গান। ক্রিকেটের পিচ থেকে টাটকা বারুদের গন্ধ মাখা যুদ্ধক্ষেত্র, রইল ঝাড়াই বাছাই করে দেশাত্মবোধে ভরপুর পাঁচ হিন্দি ছবির তালিকা যা দেখে আপনার মনে হবেই 'মেরা ভারত মহান' অথবা ভারতীয় হওয়াটা কেন গর্বের।
১. লগান:
ক্রিকেটের সঙ্গে দেশাত্মবোধের ককটেল, এই দুই উপাদানের জেরেই ভারতের চলচ্চিত্র ইতিহাসের সৃষ্টি করেছিল 'লগান'। সর্বদিক থেকে সর্বভাবে পিছিয়ে থাকা ভারতের প্রত্যন্ত অঞ্চলের গ্রামবাসীরা ব্রিটিশ সিংহদের চোখে চোখে রেখে লড়াই করার 'রূপকথা'র গল্প শোনায় এই ছবি। ছবিতে দেখা যায়, অভুক্ত, দরিদ্র গ্রামবাসীদের জমে থাকা তিন বছরের কর মকুব করবে ব্রিটিশ সরকার স্রেফ একটিমাত্র শর্তে। যদি তাঁরা ক্রিকেট খেলায় ১১জন ব্রিটিশ ক্রিকেটারকে। জমাটি গল্পের সঙ্গে আমির খানের দুরন্ত অভিনয় 'লগান'কে পৌঁছে দিয়েছিল অস্কারের দরবারে।
২. বর্ডার:
অ্যাকশন, ড্রামা এবং দেশাত্মবোধের গনগনে আঁচ। এই তিন উপাদান ঢেলে 'বর্ডার' তৈরি করেছিলেন জে পি দত্ত। ফলাফল? দর্শকের আবেগকে তুঙ্গে তুলে দেওয়ার পাশাপাশি বক্স অফিসেও তুফান তুলেছিল এই ছবি। রাজস্থানের লঙ্গেওয়ালা অঞ্চলে ১৯৭১-এর ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে লেখা হয়েছিল 'বর্ডার'-এর চিত্রনাট্য। এ ছবি আজও দর্শকের হৃদয়মথিত ভালবাসা বের করে নেওয়ার পাশাপাশি ভারতীয় হিসাবে গর্বে বুক ফুলিয়ে দেয়।
৩. স্বদেশ:
একই দেশের দুটি রূপ। একটি ইন্ডিয়া, অন্যটি ভারত। 'ইন্ডিয়া' যতটা আধুনিক, ঝাঁ চকচকে ভারত ততটাই সমাজের অর্থনৈতিক কাঠামোয় প্রান্তিক পর্যায়ে বাস করা এক ব্যক্তি। এই ছবি চোখে আঙ্গুল তুলে দেখায় আমাদের দেশের ভালবাসা, সরলতা, মাটি, সৌহার্দ্য, অভাব, কুসংস্কার এবং আরও অনেক, অনেক কিছু। এ ছবি যখন গল্প বলে নাসায় কর্মরত বিজ্ঞানী শাহরুখ খান নিজের দেশের উন্নতি সাধনে মোটা টাকার চাকরি ছেড়ে ভারতে ফিরে আসার, তখন দর্শকের চোখ ভিজে যায় আনন্দ অশ্রুতে। এ ছবি আদতে ভাবায় ভারতের না বলা, পিছিয়ে পড়া মানুষগুলোকে নিয়ে। এ ছবি অনুচ্চারিত শব্দে আকুতি জানায় সেই মানুষদের পাশা দাঁড়ালে তবেই একসঙ্গে উন্নতি হবে গোটা দেশের।
৪. দ্য লেজেন্ড অফ ভগৎ সিং:
ব্রিটিশ পুলিশ অফিসার জন সন্ডার্সকে হত্যার দায়ে ভগত সিংহ, শিবরাম রাজগুরু ও সুখদেবের ফাঁসি হয়েছিল ১৯৩১ সালের ২৩ মার্চ। এইটে যেমন সত্যি তেমন এই ঘটনার পিছনে রয়েছে লম্বা গল্প ভারতের 'অগ্নিযুগ'-এর অন্যতম স্ফুলিঙ্গ ভগৎ সিংয়ের। ভগতের সাহসীকতা, দুর্দমনীয়তা, সবকিছু ছাপিয়ে দেশের প্রতি তাঁর ভালবাসাকে নিপুণভাবে অজয় দেবগণ ফুটিয়ে তুলেছিলেন ‘দ্য লেজেন্ড অফ ভগৎ সিং’ ছবিতে। এই ছবি অজয় দেবগণের ঝুলিতে এনে দিয়েছে জাতীয় পুরস্কার। এবং ভারতীয় দর্শককে নিজের দেশের প্রতি, দেশবাসীকে প্রতি গর্বিত হতে উদ্বুদ্ধ করেছিল নতুনভাবে।
৫ কেশরী:
এবং 'কেশরী'। ১৮৯৭-এ সারগঢ়ির যুদ্ধের ওপর তৈরি হয়েছে ‘কেশরী’ ছবিটি। ব্রিটিশ ভারতে মাত্র ২১ জন শিখ সেনা কীভাবে ১০ হাজার আফগান দখলকারীর বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন সেই অতিমানবীয় সত্যি যুদ্ধের গল্প বলে এই ছবি। যেন ডেভিড ও গোলিয়াথের কাহিনি। শিখ দলপতির ভূমিকায় দেখা যাবে অক্ষয়কে। ১০ হাজার আফগান দখলকারীর বিরুদ্ধে আপ্রাণ লড়াই করবেন তাঁরা, যাতে দেশবাসীরা নিরাপদে থাকেন। ভারতের মাটিতে হওয়া অন্যতম এই যুদ্ধের ওপর নির্ভর করে তৈরি এই ছবি 'লার্জার দ্যান লাইফে'র গল্প বলার পাশাপাশি ফের একবার মনে করিয়ে দেবে দেশাত্মবোধের সংজ্ঞা।