শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪
সম্পূর্ণ খবর
Tirthankar Das | ০৯ আগস্ট ২০২৪ ১৭ : ৫১Tirthankar
তীর্থঙ্কর দাস: গত ১৬ বছর ধরে রাস্তা থেকে তেরঙা কুড়িয়ে নিজের বাড়িতে জমাচ্ছেন বিশেষভাবে সক্ষম এই যুবক। বালি নিশ্চিন্দার বাসিন্দা প্রিয়রঞ্জন সরকার। এলাকার লোকজনের কাছে তিনি পরিচিত 'মনু' নামেই। সাধারণতন্ত্র দিবস, স্বাধীনতা দিবসের মতো বিশেষ দিনে আমরা ব্যবহার করে থাকি জাতীয় পতাকা। কিন্তু দিনের শেষে ব্যবহৃত দেশের জাতীয় পতাকাগুলো যখন রাস্তায় লুটোপুটি খায় তাঁর খোঁজ কতজনই বা রাখে? রাস্তাই পরে থাকা তেরঙা খুঁজে খুঁজে বের করাই হল প্রিয়রঞ্জনের কাজ। বিগত ১৫-১৬ বছর ধরে এভাবেই কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। অনেকে বলেন কাগজ কুড়ানি, কেউ বা বলে পাগল। কিন্তু কেন এমন করেন মনু? উত্তরে আজকাল ডট ইনকে জানালেন, "জাতীয় পতাকাও তো মা। নিজের মাকে কি আর রাস্তায় পরে থাকতে দেওয়া যায়?"
ছোট থেকেই বিশেষভাবে সক্ষম বালির “ফ্ল্যাগ ম্যান"। ঠিক করে কথাও বলতে পারেন না। প্রতিবন্ধকতা দমিয়ে রাখতে পারেনি তাঁর মনের জেদ এবং ইচ্ছাশক্তিকে। মনুর কথায়, " একদিনের আনন্দের জন্যে দেশের পতাকা অসম্মান করার প্রয়োজন নেই। এই পতাকার মূল্য অনেক। যারা মায়ের কদর করতে জানেনা তাদের এগুলো ধরার অধিকারও নেই।”
মনুর বাড়িতে ২০ ফুট বাই ১৫ ফুটের একটি লোহার বাক্স রয়েছে। বর্তমানে প্রায় ১,২০,০০০ পরিত্যক্ত জাতীয় পতাকা এই বাক্সে রাখা আছে। সম্প্রতি, পতাকার সংখ্যা বাড়তে থাকায় তিনি একই আকারের আরেকটি বাক্স কেনেন। পতাকাগুলি যেন অক্ষত থাকে, তার জন্য মনু নিয়মিতভাবে ব্যবহার করেন ন্যাপথলিন বল।
ইতিমধ্যে মনু কয়েকজনকে নিয়ে তৈরি করে ফেলেছেন ‘মায়ের প্রেরণা’ নামে একটি সংস্থা। প্রতিবছর রাস্তায় পরে থাকা অবহেলিত জাতীয় পতাকা রাস্তা থেকে সযত্নে তোলার কাজ করে এই সংস্থার প্রত্যেকে। ভারত মায়ের সম্মান ফিরিয়ে দেওয়ার জন্যেই যেন বদ্ধপরিকর “ফ্ল্যাগ ম্যান” মনু।