শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪
সম্পূর্ণ খবর
Rajat Bose | ০৭ আগস্ট ২০২৪ ১৭ : ১২Rajat Bose
আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভিখাজি রুস্তম কামা। পরিচিত ছিলেন ম্যাডাম কামা নামে। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম প্রধান ব্যক্তিত্ব ছিলেন তিনি।
২৪ সেপ্টেম্বর, ১৯৬১ তিনি পরাধীন ভারতের বোম্বেতে জন্মগ্রহণ করেন এক স্বচ্ছল পারসি পরিবারে। বাবা ছিলেন সোরাবজি প্যাটেল, পেশায় ছিলেন আইনজীবী। মা ছিলেন জাজিবাই সোরাবজি প্যাটেল।
২২ আগস্ট, ১৯০৭ সালে তিনি স্টুটগার্টে ভারতীয় পতাকা উড়িয়েছিলেন। তিনিই প্রথম ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামী যিনি বিদেশে ভারতীয় পতাকা উত্তোলন করেছিলেন। জানা যায়, একাধিক ভাষা তিনি জানতেন। পড়তেন তখনকার জনপ্রিয় আলেকজান্দ্রা গার্লস ইংলিশ ইনস্টিটিউশনে।
১৮৮৫ সালের ৩ আগস্ট তিনি বিয়ে করেন রুস্তম কামাকে। যিনি কে আর কামার পুত্র ছিলেন। বিয়ে করলেও ভিখাজির মূল টান ছিল রাজনীতির প্রতি। সমাজসেবার প্রতিও তার টান ছিল অপরিসীম। ১৯০৪ সালে ভারতে ফিরে আসার কথা ভাবেন তিনি। তখনই তিনি শ্যামজি কৃষ্ণ ভার্মার সংস্পর্শে আসেন। তার মাধ্যমে ভিখাজি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের ব্রিটিশ কমিটির তৎকালীন সভাপতি দাদাভাই নওরোজির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এরপর নিয়মিত নানা কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন। সে বছরই তিনি চলে যান প্যারিসে। প্রতিষ্ঠা করেন প্যারিস ইন্ডিয়ান সোসাইটির।
১৯০৯ সালে ভারতের সেক্রেটারি অফ স্টেটের সহকারী উইলিয়াম হার্ট কার্জন উইলির হত্যার পর স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড গ্রেট ব্রিটেনে বসবাসকারী বেশ কয়েকজন বিপ্লবীকে গ্রেপ্তার করে। ব্রিটিশ সরকার কামার প্রত্যর্পণের জন্য অনুরোধ করে। কিন্তু ফরাসি সরকার তা প্রত্যাখ্যান করে।
এরপর ১৯১৪ সালে শুরু হয় প্রথম বিশ্বযুদ্ধ। সেই যুদ্ধে মিত্র হয়ে যায় ফ্রান্স ও ব্রিটেন। তখন কামা সহ প্যারিস ইন্ডিয়া সোসাইটির সকল সদস্য প্যারিস ছেড়ে চলে যান। ১৯১৪ সালে কামাকে গ্রেপ্তার করা হয়। কারণ পাঞ্জাব রেজিমেন্টের সেনাদের সঙ্গে আন্দোলন করার চেষ্টা করেছিলেন। কামাকে ভিচিতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ১৯৩৫ সাল পর্যন্ত তিনি সেখানেই নির্বাসিত ছিলেন। সেবারই তাঁর স্ট্রোক হয়। তিনি পক্ষাঘাতে আক্রান্ত হন। ১৯৩৫ সালের নভেম্বরে কামা বোম্বে ফিরে আসেন। তার নয় মাস পর ৭৪ বছর বয়সে তিনি মারা যান। দিনটা ছিল ১৯৩৬ সালের ১৩ আগস্ট।