শনিবার ১২ অক্টোবর ২০২৪
সম্পূর্ণ খবর
Pallabi Ghosh | ০৭ আগস্ট ২০২৪ ১৭ : ২২Pallabi Ghosh
আজকাল ওয়েবডেস্ক: ১৯১৩ সালে চট্টগ্রামের শ্রীপুরে তাঁর জন্ম। ১৯২৯ সালে ম্যাট্রিক পাশ করার পর চলে আসেন কলকাতায়। বেথুন কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী তখনই থেকেই বিপ্লবী কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন। যোগ দেন ছাত্রী সংঘে। সেই থেকেই লড়াই শুরু কল্পনা দত্তের।
মাস্টারদা সূর্য সেনের নেতৃত্বে চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুন্ঠনে অংশ নিয়েছিলেন কল্পনা দত্ত। যে দলে ছিলেন প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার। ইউরোপীয় ক্লাব আক্রমণের পর পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে কল্পনা দত্ত নানা স্থানে পালিয়ে বেড়াতেন। ডিনামাইট দিয়ে জেলখানা ধ্বংসের পরিকল্পনা করে 'ডিনামাইট ষড়যন্ত্র মামলায়' অভিযুক্ত হন তিনি। পাশাপাশি বিস্ফোরক দিয়ে 'গান-কটন' তৈরি করে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে বিপ্লবী গণেশ ঘোষ ও অনন্ত সিংহকে আদালত থেকে পালিয়ে যেতে সাহায্য করেও ব্যর্থ হন। তাই কল্পনা দত্তকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর 'বাংলার অগ্নিকন্যা' বলেছিলেন।
চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুন্ঠনের পর গাহিরা গ্রামে আত্মগোপন করেছিলেন কল্পনা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ সেই গ্রাম ঘিরে ফেলে। অন্যান্য বিপ্লবীরা পালাতে পারলেও, কল্পনা পারেননি। ১৯৩৩ খ্রিস্টাব্দে ১৮ মে কল্পনা দত্তআত্মসমর্পণ করেন। তারপর তাঁর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা হয়।
১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দে জেল থেকে বেরিয়ে কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগ দেন কল্পনা দত্ত। ১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দে সিপিআই নেতা পিসি যোশির সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধেও তাঁর অবদান ছিল। বিবাহের পর চট্টগ্রামে ফিরলেও, ভারতের স্বাধীনতার পর আবার এ দেশে ফিরে আসেন। ১৯৯৫ সালে কল্পনা দত্ত শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।