আজকাল ওয়েবডেস্ক: টেস্ট ম্যাচে নিয়ম করে দুটো বিরতি হয়। প্রথমে, মধ্যাহ্নভোজের বিরতি। পরে, চায়ের বিরতি। প্রথমটা একটু লম্বা সময়ের। ৪০ মিনিটের। পরের ব্রেক তার অর্ধেক। অর্থাৎ, ২০ মিনিটের। বহু যুগ ধরে চলে আসছে এই রীতি। কিন্তু এই দুটো বিরতিতে ক্রিকেটাররা কী খায়, সেটা কি কখনও আমরা জানতে পেরেছি? এবার প্লেয়ারদের হেঁসেলে উঁকি মারার সুযোগ দিলেন অলি পোপ। জানালেন মধ্যাহ্নভোজ এবং চায়ের বিরতিতে ক্রিকেটাররা কী খায়। একটি সাক্ষাৎকারে ইংল্যান্ডের তারকা ব্যাটার জানান, প্লেয়ারদের খাদ্যাভাস পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে। ক্রিজে থাকাকালীন একধরনের খাবার খেতে পছন্দ করে ক্রিকেটাররা। পোপ বলেন, 'সাধারণত মুরগির মাংস, মাছ থাকে। হয়ত স্টেকের সঙ্গে পাস্তাও। সবটাই পরিস্থিতির বিচারে। এটা নির্দিষ্ট ক্রিকেটারের ওপর নির্ভর করে। আমি যদি তখন ব্যাট করি, আমি বেশি খাই না। সেই সময় শরীর হালকা রাখতে চাই। তাই আমি ভারী লাঞ্চ করি না। আমি একটা প্রোটন শেক এবং কলা খাই। যদি আমি সারাদিন ব্যাট করি, তাহলে সারাদিন আমি প্রায় না খেয়েই থাকি। কারণ খেয়ে ব্যাট করতে আমার সমস্যা হয়। তাই দিনের শেষে খাই।'
বোর্ডে লেখা মেনুর একটি ছবি শেয়ার করেন পোপ। সেখানে খাবারের তালিকায় রয়েছে বিভিন্ন রকমের স্যুপ। এছাড়াও রয়েছে একাধিক কন্টিনেন্টাল আইটেম। আবার বাসমতি রাইস, নানও রয়েছে। শেষ পাতে আইসক্রিম, ফ্রুট স্যালাড, ইয়োগার্টও বাদ নেই। তবে ক্রিকেটাররা কী বা কতটা খাবেন, সেটা সম্পূর্ণভাবে তাঁদের ওপর নির্ভর করে। ইংল্যান্ডে টি ব্রেক বরাবরই ট্র্যাডিশনাল। ভারতের পর চা খাওয়ায় অভ্যাসে সবচেয়ে এগিয়ে ব্রিটিশরা। তবে পোপ জানালেন, টেস্টের মাঝে টি ব্রেক শুধুমাত্র চায়ে চুমুক দেওয়া নয়। পোপ বলেন, 'অনেকেই চা খেতে পছন্দ করে। আমি কফি খাই। তবে বৃষ্টির জন্য খেলা বন্ধ থাকলে তখন মাঝেমধ্যে চাও খাই।' হেডিংলিতে তাঁর ১০৬ রান ইংল্যান্ডকে প্রথম টেস্ট জিততে সাহায্য করে। কিন্তু বাকি দুই টেস্টে ব্যর্থ। লর্ডসে ৪৪ রানে আউট হন। বড় রানে কনভার্ট করতে পারেননি। এজবাস্টনে রান পাননি। লর্ডস টেস্ট জয়ে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ ২-১ এ এগিয়ে ইংল্যান্ড। ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে জিতলেই সিরিজ পকেটে।
ম্যাঞ্চেস্টারে নজিরের হাতছানি জো রুটের সামনে। ইংল্যান্ডের ক্রিকেটারের লক্ষ্য শচীন তেন্ডুলকর। তবে তার আগে আরও একটি পথ পেরোতে হবে তাঁকে। চতুর্থ টেস্টে প্রয়োজন ১২০ রান। তাহলেই রিকি পন্টিংকে ছাপিয়ে দ্বিতীয় স্থানে চলে যাবেন ইংল্যান্ডের ব্যাটার। টেস্টে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারীদের তালিকায় দুই নম্বরে চলে আসবেন রুট। ২-১ এ সিরিজে এগিয়ে ইংল্যান্ড। প্রথম দুই টেস্টে মিশ্র পারফরম্যান্স। তৃতীয় টেস্টে শতরান করেন। তিন টেস্টে তাঁর রান ২৫৩। গড় ৫০.৬০। একটি শতরান এবং অর্ধশতরান রয়েছে নামের পাশে। সিরিজে রান সংগ্রহকারীদের তালিকায় এখনও পর্যন্ত অষ্টম স্থানে আছেন। তাঁর মান অনুযায়ী যা কিছুটা হতাশার। তবে ম্যাঞ্চেস্টারে অনবদ্য রেকর্ড রুটের।
ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে সবচেয়ে বেশি রান তাঁর। ১১ টেস্ট ১৯ ইনিংসে রুটের রান ৯৭৮। গড় ৬৫.২০। রয়েছে একটি শতরান এবং সাতটি অর্ধশতরান। সর্বোচ্চ রান ২৫৪। টেস্টে সর্বকালের সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারীদের মধ্যে বর্তমানে পঞ্চম স্থানে রয়েছেন ইংল্যান্ডের স্টাইলিশ ব্যাটার। ১৫৬ টেস্ট ২৮৫ ইনিংসে তাঁর রান ১৩২৫৯। গড় ৫০.৮০। রয়েছে ৩৭ শতরান এবং ৬৬টি অর্ধশতরান। সর্বোচ্চ রান ২৬২। আর মাত্র ৩০ রান করলেই রাহুল দ্রাবিড়কে ছাপিয়ে চার নম্বরে উঠে আসবেন রুট। ১৬৪ টেস্টে ১৩২৮৮ রান প্রাক্তন ভারতীয় তারকার। ১২০ রান করলে জ্যাক কালিস এবং রিকি পন্টিংকে টপকে সরাসরি দুইয়ে চলে আসবেন ইংলিশ ব্যাটার।
