আজকাল ওয়েবডেস্ক: বাবার সঙ্গে কথা বলে মোটিভেশন পান সরফরাজ খান। আবার নিউজিল্যান্ডের বোলাররা তাঁকে ক্রমাগত কাট করার বল দেওয়ায় তিনি মজাই পেয়েছেন। দুরন্ত দেড়শো রানের ইনিংস খেলার পরে সরফরাজ খান বলছেন, একদম দলীপ ট্রফির মতো পরিস্থিতি ছিল। তিনি এবং ঋষভ পন্থ ঠিক যেভাবে দলীপ ট্রফিতে খেলেছিলেন, চিন্নাস্বামীতেও ঠিক সেই ভাবেই খেলেন। পন্থ এক রানের জন্য সেঞ্চুরি পাননি। সরফরাজ দেড়শো রান করে প্যাভিলিযনে ফেরেন। কিন্তু সরফরাজ ও পন্থের জন্যই ভারত ৪৬২ রান করেন। 


২০১৪ সালে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল সরফরাজের। দু’টি অনূর্ধ্ব–১৯ বিশ্বকাপে খেলেছেন তিনি। ২০০৯ সালে হ্যারিস শিল্ডের একটি ম্যাচে ৪৩৯ রান করে সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন। এরপরই সরফরাজকে মুম্বইয়ের অনূর্ধ্ব–১৯ দলে নেওয়া হয়। সেখানে ভাল খেলে ভারতের অনূর্ধ্ব–১৯ দলে সুযোগ। অনূর্ধ্ব–১৯ বিশ্বকাপের ইতিহাসে সরফরাজের ৫৬৬ রান তৃতীয় সর্বোচ্চ। 


তাঁর জীবনে বিতর্কও কিছু কম নয়। বয়স ভাঁড়ানোর অভিযোগে তাঁকে সাসপেন্ড করেছিল মুম্বই ক্রিকেট সংস্থা। শৃঙ্খলাজনিত কারণে এমসিএ–র ইন্ডোর অ্যাকাডেমি ক্যাম্প থেকেও নির্বাসিত করা হয় তাঁকে। ২০১৪–১৫ মরসুমে ঘরোয়া ক্রিকেটে তাঁর ম্যাচ ফি আটকে রাখা হয়েছিল। অনূর্ধ্ব–১৯ ক্রিকেটের একটি ম্যাচে নির্বাচকদের উদ্দেশে কিছু অঙ্গভঙ্গি করেছিলেন তিনি। ২০১৪–১৫ মরসুমের পরেই সরফরাজ মুম্বই ছেড়ে উত্তরপ্রদেশের হয়ে খেলতে চলে যান। সেখানে দু’‌টি মরসুম কাটালেও সাফল্য আসেনি। ২০১৯–২০ মরসুমে তিনি ফিরে আসেন মুম্বইয়ে। এরপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি সরফরাজকে। ক্রমাগত রান করে যান তিনি। কেরিয়ারের চতুর্থ টেস্টে এসে তিনি সেঞ্চুরি পেলেন।