আজকাল ওয়েবডেস্ক: পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে কড়া ভাষায় জবাব দিল আইসিসি। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পুরস্কার মঞ্চে পিসিবি’র কোনও প্রতিনিধি না থাকার যে অভিযোগ তারা করেছে, তা মানতে একেবারেই রাজি নয় আইসিসি। প্রসঙ্গত, দুবাইয়ে ফাইনালে উপস্থিত ছিলেন পিসিবি’র সিওও ও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ডিরেক্টর সুমেইর আহমেদ সঈদ। আর উপস্থিত ছিলেন পাক বোর্ডের তরফে উসমান ওয়াহলা। পাকিস্তানের অভিযোগ, সুমেইরকে মঞ্চে ডাকা হয়নি। পাল্টা আইসিসি জানিয়েছে, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ডিরেক্টর হওয়ায় সুমেইরকে মঞ্চে আমন্ত্রণ জানাতে হবে, তেমন কোনও নিয়ম নেই। আইসিসির এক আধিকারিক জানান, ‘সুমেইর পিসিবি’র এক কর্মচারী। উনি বোর্ডের আধিকারিক নন। খোঁজ নিয়ে দেখতে পারেন কবে কোন প্রতিযোগিতার ডিরেক্টর পুরস্কার মঞ্চে থেকেছে। আইসিসির আধিকারিক গৌরব সাক্সেনা এক বার এশিয়া কাপের ডিরেক্টর ছিলেন। তিনি কি পুরস্কার মঞ্চে ছিলেন? যা ইচ্ছা অভিযোগ করলেই তো হবে না। নকভিকে আমরা আমন্ত্রণ করেছিলাম। উনি আসেননি।’
প্রসঙ্গত, ফাইনালে পুরস্কার মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন আইসিসি চেয়ারম্যান জয় শাহ। বিসিসিআই সভাপতি রজার বিনি ও বোর্ড সচিব দেবজিৎ সইকিয়া। মঞ্চের তিনি অতিথিই ছিলেন ভারতীয়।
কেন পিসিবি’র কোনও প্রতিনিধিকে ডাকা হয়নি আইসিসির কাছে তার জবাব চেয়েছিল পাক বোর্ড। তাদের এক আধিকারিক বলেন, ‘পিসিবি চেয়ারম্যান নকভি ফাইনালের দিন দুবাইয়ে থাকতে পারেননি। কারণ দেশের প্রাদেশিক মন্ত্রী হিসাবে পূর্বনির্ধারিত কিছু কাজ ছিল তাঁর। তবে সিওওকে পাঠানো হয়েছিল দুবাইয়ে। কিন্তু তাঁকে মঞ্চে ডাকা হয়নি।’ বিতর্কের মুখে আইসিসি জানিয়ে দেয়, নিয়ম অনুযায়ী কোনও ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি, সহ–সভাপতি, চেয়ারম্যান বা সচিবকে পুরস্কার মঞ্চে ডাকা যায়। তার বাইরে কাউকে সেখানে ডাকা যায় না। আইসিসি বলেছিল, ‘নিয়ম অনুযায়ী শুধু বোর্ড কর্তারাই পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে থাকতে পারেন। পিসিবির অন্য কোনও কর্তাও ছিলেন না। পাকিস্তানই প্রতিযোগিতার মূল আয়োজক ছিল। পিসিবির পক্ষে কারও উপস্থিত থাকা উচিত ছিল।’
