আজকাল ওয়েবডেস্ক: ফেডারেশনের সঙ্গে দু'বছরের চুক্তিতে সই করলেন খালিদ জামিল। আরও একবছর চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর বিকল্প রয়েছে। মানোলো মার্কুয়েজের মতো নয়, জাতীয় দলের ফুল টাইম হেড কোচ হিসেবে যোগ দিচ্ছেন খালিদ। অর্থাৎ, জামশেদপুরের কোচ হিসেবে আর দেখা যাবে না তাঁকে। ১৫ আগস্ট থেকে পুরুষদের জাতীয় দলের দায়িত্ব নেবেন ভারতীয় ফুটবলের পোড়খাওয়া কোচ। সেদিন থেকেই বেঙ্গালুরুর দ্রাবিড়-পাড়ুকোন সেন্ট্রার অফ স্পোর্টস এক্সেলেন্সে ট্রেনিং শুরু করে দেবেন। প্লেয়ারদের প্রাথমিক তালিকা শীঘ্রই ঘোষণা করা হবে। প্রথমে ঠিক ছিল, কলকাতায় ফেডারেশনের সেন্টার অফ এক্সেলেন্সে প্রস্তুতি সারবে ভারতীয় দল। কিন্তু এখানকার স্থানীয় মিডিয়া এড়াতেই খালিদের কথা মতো প্রস্তুতি সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় বেঙ্গালুরুতে।
জাতীয় দলের কোচ হিসেবে খালিদের প্রথম পরীক্ষা কাফা নেশনস কাপ। যেখানে ভারত তাজিকিস্তান, ইরান এবং আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে খেলবে। অক্টোবরে ফিফা উইন্ডোতে সিঙ্গাপুরের বিরুদ্ধে দুটো গুরুত্বপূর্ণ এএফসি এশিয়ান কাপের যোগ্যতাঅর্জন পর্বের ম্যাচ রয়েছে। জাতীয় দলকে কোচিং করানোর সুযোগ পেয়ে খুশি মুম্বইকর। নিজেকে উজাড় করে দেওয়ার জন্য তৈরি। খালিদ বলেন, 'জাতীয় দলকে কোচিং করানোর সুযোগ পেয়ে আমি গর্বিত এবং কৃতজ্ঞ। বিগত বছরগুলোতে আমি ভারতীয় ফুটবলারদের ট্রেনিং দেওয়ার সুযোগ পেয়েছি। আমি ওদের শক্তি এবং দুর্বলতা সম্বন্ধে অবগত। কাফা নেশনস কাপ এবং এশিয়ান কাপ কোয়ালিফায়ারের যোগ্যতাঅর্জন পর্বের প্রস্তুতিতে এগুলো কাজে দেবে।'
২০১২ সালে স্যাভিও মেডেইরার পর জাতীয় দলে এই প্রথম ভারতীয় কোচ। আইএসএল এবং আই লিগে কোচিং অভিজ্ঞতা প্রচুর। জামশেদপুর এফসি, নর্থ ইস্ট ইউনাইটেড এফসি, আইজল এফসি, ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান এবং মুম্বই এফসিতে কোচিং করান। ২০১৬-১৭ সালে আইজলকে আই লিগ চ্যাম্পিয়ন করেন। জামশেদপুরকে কলিঙ্গ সুপার কাপের ফাইনালে তোলেন ৪৮ বছরের ভারতীয় কোচ। চোটের জন্য ফুটবল জীবন দীর্ঘস্থায়ী হয়নি খালিদের। অনেক কম বয়সে ফুটবল ছাড়তে বাধ্য হন। জাতীয় দলের হয়ে ১৫টি ম্যাচ খেলেন। নেপালে ১৯৯৭ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে দেশের জার্সিতে অভিষেক হয়। চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত। ২০০২ ফিফা বিশ্বকাপের যোগ্যতাঅর্জন পর্বের ম্যাচে ভারতীয় দলে ছিলেন তিনি। ২০০১ মারডেকা টুর্নামেন্টেরও অঙ্গ ছিলেন। ক্লাব ফুটবলে মাহিন্দ্রা ইউনাইটেডের হয়ে একবার ন্যাশনাল ফুটবল লিগ, দু'বার ফেডারেশন কাপ এবং দুটো আইএফএ শিল্ড জেতেন। এছাড়াও এয়ার ইন্ডিয়া এবং মুম্বই এফসির জার্সিতে খেলেন। সন্তোষ ট্রফিতে মহারাষ্ট্রকে প্রতিনিধিত্ব করেন খালিদ। ১৯৯৯ সালে খেতাব জেতেন। তারপর চোটের জন্য ফুটবল জীবনে ইতি টানতে বাধ্য হন। অনেক অল্প বয়সে যোগ দেন কোচিংয়ে। আর ফিরে তাকাতে হয়নি। ধাপে ধাপে এগিয়ে গিয়েছেন। কলকাতার দুই প্রধানে কোচিং করান। এবার নতুন চ্যালেঞ্জ তাঁর সামনে।
