আজকাল ওয়েবডেস্ক:‌ কোনও ফুটবলার ছাড়া হবে না। একপ্রকার হুমকিই দিয়েছিল মোহনবাগান সুপার জায়ান্টস। শেষ পর্যন্ত মোহনবাগানের দাবির কাছে হার মানতে হল ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনকে। সবুজ–মেরুনের কোনও ফুটবলারকে জাতীয় দলে নিতে পারলেন না কোচ খালিদ জামিল। কাফা নেশনস কাপের জন্য ২৩ জনের দলে নেই কোনও বাঙালি ফুটবলারও।


ডুরান্ড কাপ শেষে মোহনবাগান সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে এফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ•২ এর জন্য কোনও ফুটবলার ছাড়া হবে না। সেটাই মেনে নিতে হল ফেডারেশনকে। ফলে দীর্ঘ দিন পর ভারতীয় দলে মোহনবাগানের কোনও ফুটবলারকে দেখা যাবে না।


খালিদের ৩৫ জনের প্রাথমিক দলে ছিলেন মোহনবাগানের বিশাল কাইথ, অনিরুদ্ধ থাপা, দীপক টাংরি, আপুইয়া, লিস্টন কোলাসো, মনবীর সিং ও সাহাল আব্দুল সামাদ। ইস্টবেঙ্গলের আনোয়ার আলি, জিকসন সিং ও নাওরেম মহেশ সিংকে প্রাথমিক দলে রেখেছিলেন খালিদ। তাঁরা অবশ্য প্রত্যেকেই মূল দলে রয়েছেন।
খালিদ যে প্রাথমিক শিবির করেছিলেন সেখানে বাঙালি ফুটবলার হিসাবে ছিলেন একমাত্র রহিম আলি। ওড়িশা এফসি–র এই স্ট্রাইকারকে মূল দলে রাখা হয়নি। ফলে সোমবার ভারতের যে দল ঘোষিত হয়েছে, তাতে এক জনও বাঙালি ফুটবলার নেই।

 

আরও পড়ুন:‌ কিছুতেই পড়া মনে রাখতে পারে না সন্তান? মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়াতে নিয়মিত খাওয়ান এই ৫ খাবার...


কয়েক দিন আগেই পশ্চিমবঙ্গের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস সাংবাদিক বৈঠকে অভিযোগ করেছিলেন, জাতীয় দলে বাঙালি ফুটবলারদের দেখা যাচ্ছে না। খালিদের দল ঘোষণার পর সেটাই দেখা গেল।


খালিদ যে ২৩ জনের দল ঘোষণা করেছেন সেখানে তিন গোলরক্ষক, সাত ডিফেন্ডার, আট মিডফিল্ডার ও পাঁচ স্ট্রাইকার রয়েছেন। অর্থাৎ, প্রতিটি বিভাগেই নজর দিয়েছেন কোচ।


ভারতীয় দলের দায়িত্ব নেওয়ার পর নেশনস কাপই খালিদের প্রথম প্রতিযোগিতা। তাই আগে থেকেই তার প্রস্তুতি শুরু করেছেন তিনি। উজবেকিস্তান ও তাজিকিস্তান যৌথ ভাবে এই প্রতিযোগিতার আয়োজক। ২৯ আগস্ট তাজিকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের প্রথম ম্যাচ। তার পর ১ সেপ্টেম্বর ইরান ও ৪ সেপ্টেম্বর আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে খেলবে তারা। ইরান গত বার এই প্রতিযোগিতা জিতেছিল। তাদের বর্তমান ফিফা র‌্যাঙ্কিং ২০। তাজিকিস্তানও (১০৬) ভারতের (১৩৩) থেকে এগিয়ে। আফগানিস্তান (১৬১) ক্রমতালিকায় পিছিয়ে থাকলেও আগের কোচ মানোলো মার্কেজের সময় তাদের কাছে হেরেছিল ভারত। ফলে খালিদের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ।


নেশনস কাপে ভারতীয় দল:
গোলরক্ষক:‌ গুরপ্রীত সিং সান্ধু, অমরিন্দর সিং, ঋত্বিক তিওয়ারি।
ডিফেন্ডার:‌ রাহুল ভেকে, নাওরেম রোশন সিং, আনোয়ার আলি, সন্দেশ জিঙ্ঘন, চিংলেনসানা সিং, মিংথানমাওয়াইয়া রালতে, মহম্মদ উবেইস।
মিডফিল্ডার:‌ নিখিল প্রভু, সুরেশ সিং, দানিশ ফারুক, জিকসন সিং, বরিস সিং, আশিক কুরুনিয়ান, উদান্তা সিং, মহেশ নাওরেম সিং।
ফরোয়ার্ড:‌ ইরফান ইয়াদওয়াদ, মনবীর সিং (জুনিয়র), জিতিন এমএস, লালিয়ানজুয়ালা ছাংতে, বিক্রম প্রতাপ সিং।

এদিকে, টানা দু’‌বার ডুরান্ড কাপ জিতল নর্থ ইস্ট ইউনাইটেড। টানা দু’‌বার কলকাতায় এসে কলকাতার ক্লাবকে হারিয়ে ট্রফি জয়। আর এবার তো ডায়মন্ড হারবারকে ৬–১ গোলে হারানো। সত্যিই ইতিহাস।