আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ মানেই আবেগের ফুটন্ত কড়াই। তীব্র লড়াই। টেনশনের মুহূর্ত। সবশেষে রক্তের গতি বাড়িয়ে দেওয়া 'ফিনিশিং'।
ইদানীংকালে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ মানেই একপেশে। সেখানে লড়াই নেই। ভারত খুব সহজেই হারায় পাকিস্তানকে। দুবাইয়ে রবিবারের ভারত-পাক ম্যাচেও সেটাই দেখা গেল। মেলবোর্ন হোক বা দুবাই, পৃথিবীর যে কোনও প্রান্তই হোক না কেন, ভারতের কাছে পাকিস্তানের হার এখন হয়ে গিয়েছে দস্তুর।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে পাকিস্তানের হারের পরে ভারতের কিংবদন্তি ক্রিকেটার সুনীল গাভাসকর মনে করেন, ভারতের 'বি' টিমও এই পাকিস্তানকে হারিয়ে দেবে।
এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হচ্ছে পাকিস্তানে। ভারতের ম্যাচগুলো হচ্ছে দুবাইয়ে। কিন্তু ঘরের মাঠে অনুষ্ঠিত টুর্নামেন্টের সুবিধা নিতেই পারল না পাকিস্তান। দু' ম্যাচ হেরে টুর্নামেন্ট থেকেই ছিটকে গিয়েছে মহম্মদ রিজওয়ানের দল।
দু'দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ এখন আর হয় না। আইসিসি টুর্নামেন্টেই কেবল দুই দেশের সাক্ষাৎ হয়।
শেষ পাঁচটি ম্যাচেই জিতেছে ভারত। গত ১২ বছরে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে ২০টি ম্যাচের মধ্যে ১৬টিতেই জিতেছে ভারত।
'স্পোর্টস টুডে'কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে গাভাসকর বলেন, ''শক্তির দিক থেকে দুই দলের মধ্যে এখন অনেক পার্থক্য।''
'লিটল মাস্টার' আরও বলেন, ''আমার মনে হয়, ভারতের 'বি' টিমও পাকিস্তানকে বেগ দেবে। হারিয়েও দিতে পারে। 'সি' দল পারবে কি না, খুব একটা নিশ্চিত নই। তবে পাকিস্তানের এই দলের ভারতের 'বি' টিমকে হারানো খুবই কঠিন হবে।''
অথচ একসময়ে ছবিটা সম্পূর্ণ অন্যরকম ছিল। মুখোমুখি লড়াইয়ে এগিয়েছিল পাকিস্তান। এখন সেই পাকিস্তানই ক্রমশ পিছু হঠছে। ভারতের কাছে হার মানছে। গাভাসকর বলছেন, ''
পাকিস্তানের শক্তির এই অধঃপতন সত্য়িই বিস্ময়কর। পাকিস্তানে সহজাত প্রতিভা ছিল অসংখ্য। ইনজামাম উল হকের কথাই ধরা যাক। কোনও উঠতি ক্রিকেটারকে ইনজির মতো স্টান্স নিতে কেউই বলবেন না। কিন্তু ইনজামামের মানসিকতা ছিল অসাধারণ। টেকনিক্যাল সমস্যা মিটিয়ে দিত ইনজি।''
সানির মতে, পাকিস্তান থেকে এরকম সহজাত প্রতিভাধর প্রতিভা আর উঠে আসছে না। পাকিস্তান সুপার লিগ আছে! কিন্তু তরুণ প্রতিভা কোথায় পাকিস্তানের জাতীয় ক্রিকেটে?
আইপিএলের মাধ্যমে তরুণ ক্রিকেটার উঠে আসছে ভারতীয় ক্রিকেটে। পাকিস্তানকেও এখন ভাবতে হবে, কেন উঠে আসছে না এমন তরুণ প্রতিভা। কেন বারংবার হার মানতে হচ্ছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর কাছে।
