আজকাল ওয়েবডেস্ক: দু'জনের ধর্ম আলাদা। ঈশ্বর আলাদা। কিন্তু জাতি, ধর্মের ঊর্ধ্বে মানব ধর্ম। তাতেই আবদ্ধ মেহতাব এবং মৌমিতা। স্ত্রীর ইচ্ছায় এবার নিজের বাড়িতে দুর্গাপুজো করতে চলেছেন ভারতের তথা দুই প্রধানে চুটিয়ে খেলা মেহতাব হোসেন। তাঁর নিউটাউনের বাড়িতেই বসবে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবের আসর। এককালীন সতীর্থ থেকে শুরু করে বন্ধু-বান্ধবদের আমন্ত্রণও সেরে ফেলেছেন। ঈদে যেমন পরিবারের সঙ্গে আনন্দে মাতেন, ঠিক তেমনই সন্তানদের নিয়ে বিভিন্ন পুজো প্যান্ডেলে ঘোরেন মেহতাব এবং মৌমিতা। বেশ কয়েক বছর ধরেই তাঁর স্ত্রীর বাড়িতে দুর্গাপুজো করার শখ ছিল। অবশেষে সেই স্বপ্ন সফল হতে চলেছে। মেহতাব বলেন, 'বাড়িতে দুর্গাপুজো করার ইচ্ছে ছিল মৌমিতার। ও আমাকে পুজোর কথা বলতেই আমি রাজি হয়ে যাই। পুজো সবার। আমি কোনও জাতি, ধর্ম মানি না। ঈদের উৎসবে মৌমিতা আমাদের সঙ্গে সামিল হয়। আমরাও দুর্গাপুজোয় আনন্দ করি। বেশ কয়েক বছর ধরে ওর দুর্গাপুজো করার ইচ্ছা ছিল। শেষপর্যন্ত এবছর বাড়িতে পুজো আয়োজন করা সম্ভব হচ্ছে। সমস্ত রীতি মেনেই পুজো হবে।'
প্রথমবারই বড় করে পুজো করার কথা ছিল। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতির বিচারে সেই ভাবনায় কিছুটা বদল আনা হয়েছে। তবে যথেষ্ট ধুমধাম করেই হবে পুজো। যুদ্ধকালীন প্রস্তুতিতে পুজোর আয়োজন চলছে। প্রতিমা চলে এসেছে। ষষ্ঠীতে বোধন দিয়ে পুজো শুরু হবে। অষ্টমীতে প্রাক্তন সতীর্থদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন মেহতাব। বাড়ির পুজোর কটা দিন বাঙালি সাজেই দেখা যাবে মেহতাব এবং তাঁর পরিবারকে। মেহতাব এবং মৌমিতার পরিবারের লোকজনও থাকবে। তারমধ্যে অনেকেই ইতিমধ্যে চলে এসেছে। থাকছে বাঙালি খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থাও। বাড়িতে প্রথম পুজোর আগে যথেষ্ট উত্তেজিত তারকা ফুটবলার। প্রসঙ্গত, ময়দানের দুই প্রধানে দাপটের সঙ্গে খেলেন মেহতাব। আইএসএলে জামশেদপুর এবং কেরল ব্লাস্টার্সের হয়ে খেলেন মিডফিল্ড জেনারেল। জাতীয় দলেও দীর্ঘ বছর খেলেছেন। এবার এক অন্য ভূমিকায় দেখা যাবে লাল হলুদের একসময়ের প্রাণভ্রমরাকে।
