আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিরাট পরবর্তী চেজমাস্টার কী তিনিই! লখনউয়ের বিরুদ্ধে ম্যাচ জেতানো ইনিংসের পর এই প্রশ্ন উঠে গেছে। দিল্লি যখন ৫ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছে, তখনই ২২ গজে এসেছিলেন আশুতোষ শর্মা। বাকিটা ইতিহাস। যদিও রান তাড়া করে দলকে আগেও জিতিয়েছেন আশুতোষ। সেটা ২০২৪ আইপিএলে পাঞ্জাবের হয়ে।
কিন্তু ২৬ বছরের এই আশুতোষই একসময় হতাশায় ডুবে গিয়েছিলেন। মধ্যপ্রদেশের কোচ যখন ছিলেন চন্দ্রকান্ত পন্ডিত, তিনি আশুতোষকে দলে রাখেননি। এরপর বেশ কিছুদিন তিনি হতাশায় ডুবে ছিলেন। কিন্তু এরপরই নিজেকে ফিরে পান। একের পর এক দুর্দান্ত ইনিংস খেলতে থাকেন। আশুতোষ বলেছেন, ‘একটা সময় ক্রিকেট মাঠের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছিলাম। তবে জিমে যেতাম। কিন্তু হোটেলের ঘরে থাকতে ভাল লাগত না। খুব হতাশ লাগত। কেউ কোনওদিন বলেওনি আমার কী ভুল! মধ্যপ্রদেশ দলে তখন একজন নতুন কোচ এসেছিলেন। ট্রায়াল ম্যাচে ৪৫ বলে ৯০ করার পরেও সুযোগ মেলেনি।’
তারপরই হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন আশুতোষ। কিন্তু ভেঙে পড়েননি। ধীরে ধীরে খেলার মাঠে ফিরতে থাকেন। একের পর এক ম্যাচে রান করতে থাকেন। গতবার সৈয়দ মুস্তাক আলি টি২০ ক্রিকেটে তিনটি অর্ধশতরান ছিল আশুতোষের। আশুতোষের কথায়, ‘এরপরেও দলে নিয়মিত হতে পারিনি। বাদ পড়েছি। আবার সুযোগ পেয়েছি।’
সেই ক্রিকেটারই এখন নতুন চেজমাস্টারের তকমা পাচ্ছেন। লখনউয়ের বিরুদ্ধে প্রায় একাই দলকে জিতিয়েছেন। একসময় হতাশায় ডুবে যাওয়া ক্রিকেটার ভারতীয় ক্রিকেটকে নতুন স্বপ্ন দেখাচ্ছেন। ভারত কী তবে বিরাটের পর আর একটা চেজমাস্টার পেয়ে গেল!
