আজকাল ওয়েবডেস্ক: অ্যালেক্স ক্যারির নামের পাশে লেখা ১০৬ রান। স্মরণীয় এই সেঞ্চুরির দিন তিনি ধন্যবাদ দিতে পারেন স্নিকো অপারেটরকে। 

ক্যারি যখন ৭২ রানে ব্যাট করছেন, তখন জশ টংয়ের বলে উইকেটের পিছনে ক্যাচ দেন ক্যারি। 

ফিল্ড আম্পায়ার আউট দেননি। রিভিউ নেওয়া হয়। সেই সময়ে স্নিকো অপরাটের গন্ডোগোল করে ফেলেন। জীবন পেয়ে যান ক্যারি। সেই ক্যারিই পরে সেঞ্চুরি হাঁকান। 

অ্যাডিলেডে টস জিতে কামিন্স শুরুতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু শুরুটা ভাল হয়নি অজিদের। দ্রুত ফিরে যান দুই ওপেনার ট্রাভিস হেড (‌১০)‌ ও জ্যাক ওয়েদারাল্ড (‌১৮)‌। তিনে নামা মার্নাস লাবুসেনও (‌১৯)‌ রান পাননি। আইপিএল নিলামে ২৫ কোটি ২০ লক্ষ টাকায় কেকেআরে যাওয়া ক্যামেরুন গ্রিন (‌০)‌ খাতাই খুলতে পারেননি। ৯৪ রানের ভিতরেই চার উইকেট চলে যায় অস্ট্রেলিয়ার। পঞ্চম উইকেটে হাল ধরেন চার নম্বরে নামা উসমান খোওয়াজা ও ছয়ে নামা অ্যালেক্স ক্যারি। খোয়াজা করেন ৮২।  অ্যাশেজে ইতিমধ্যেই ২–০ এগিয়ে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া। অ্যাডিলেডে জিতলেই সিরিজ পকেটে। এই পরিস্থিতিতে ব্রিটিশরা বুধবার শুরুটা তেড়েফুড়েই করেছিল। কিন্তু খেলা ধরে নেয় অস্ট্রেলিয়া।

অনেকেই বলছেন, স্নিকো অপারেটরের ভুলে জীবন ফিরে পান ক্যারি। দিনের শেষে এই ক্যারিকেই বলতে শোনা গিয়েছে, তিনি নিজেকে সৌভাগ্যবান বলেই মনে করেন। ক্রিকেটে ভাগ্য একটা ব্যাপার। ক্যারিকে বলতে শোনা গিয়েছে, কখনও কখনও ক্রিকেটে ভাগ্যের সাহায্য প্রয়োজন হয়। ভাগ্যের সাহায্য পাওয়া ক্যারির পক্ষে গিয়েছে। যদিও ক্যারি ধোঁয়াশা রেখে জানান ব্যাটে বলের ছোঁয়া তিনি পেয়েছিলেন। 

অ্যাশেজের প্রথম দুটি টেস্টে খুব সহজেই জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। তৃতীয় টেস্টের প্রথম দিন অস্ট্রেলিয়া করেছেন ৮ উইকেটে ৩২৬। দিনের শেষে ক্রিজে রয়েছেন মিচেল স্টার্ক ও নাথান লিয়ঁ।