আজকাল ওয়েবডেস্ক: ৫ ঘণ্টা ৩৫ মিনিট। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ওপেনের ইতিহাসে দীর্ঘতম ম্যাচ। মঙ্গলবার ফাইনাল সেটে ০-৪ এ পিছিয়ে পড়েও প্রত্যাবর্তন করে কারেন খাচানভকে হারান ড্যানিয়েল ইভান্স। ছয় নম্বর কোর্টে ঐতিহাসিক ম্যাচের সাক্ষী থাকল বিশটেনিস। রুশ প্রতিপক্ষকে ৬-৭ (৬-৮), ৭-৬ (৭-২), ৭-৬ (৭-৪), ৪-৬, ৬-৪ সেটে হারান ব্রিটেনের ইভান্স। এর আগে যুক্তরাষ্ট্র ওপেনে দীর্ঘতম ম্যাচ ছিল স্টিফেন এডবার্গ এবং মাইকেল চাংয়ের মধ্যে। ১৯৯২ সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয় দুই তারকা। ৫ ঘণ্টা ২৬ মিনিটের লড়াইয়ে জেতেন এডবার্গ। ম্যাচের ফলাফল ছিল ৬-৭ (৩-৭), ৭-৫, ৭-৬ (৭-৩), ৫-৭, ৬-৪। এদিন সেই রেকর্ড ভাঙল। ফাইনাল সেটে খাচানভ ৪-০ তে এগিয়ে যাওয়ায় মনে হয়নি ম্যাচ রেকর্ডের দিকে গড়াবে। পরের গেমেই ইভান্সের সার্ভে চারটে ব্রেক পয়েন্ট পান। কিন্তু কাজে লাগাতে পারেননি। আর্থার অ্যাশ স্টেডিয়ামে দারুণ প্রত্যাবর্তন করেন ইভান্স। প্রত্যেক সেট একঘণ্টার বেশি চলে। তৃতীয় সেট শেষ হতে সময় লাগে ১ ঘণ্টা ১২ মিনিট। ২০২৪ সালে এটাই ব্রিটিশ তারকার প্রথম ঐতিহাসিক কামব্যাক নয়। প্যারিস অলিম্পিকে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে ছিটকে যাওয়ার আগে অ্যান্ডি মারের সঙ্গে জুটি বেঁধে সাতটি ম্যাচ পয়েন্ট বাঁচান। 

ঐতিহাসিক ম্যাচ জেতার পর ইভান্স বলেন, 'দীর্ঘতম লড়াই। আমার মনে হয় ম্যাচের অধিকাংশ সময় আমি ভাল খেলেছি। অবশ্যই একটা সময় শারীরিকভাবে চাপে পড়ে গিয়েছিলাম। একই অবস্থা ছিল প্রতিপক্ষেরও। শেষপর্যন্ত কে টিকে থাকতে পারে সেটাই দেখার ছিল। আমি একটু একটু করে এগোতে চেয়েছিলাম। সার্ভ করার সময় কোনও সমস্যা হচ্ছিল না। এটাই আমাকে শেষপর্যন্ত লড়াই করতে সাহায্য করে। ছোটবেলায় আমরা শেষ অবধি লড়াই করার শিক্ষা পেয়েছি। পুরো কেরিয়ারে আমি তাই করার চেষ্টা করেছি। এদিন সেটা কাজে দিয়েছে। এই ম্যাচটা জেতায় আমি গর্বিত। আমি কোনওদিন একটানা দু'ঘণ্টাও প্র্যাকটিস করিনি। সাধারণত দেড় ঘণ্টা প্র্যাকটিস করি। পরের ম্যাচের আগে দ্রুত ফিট হওয়ার চেষ্টা করব।' পরের রাউন্ডে আর্জেন্টিনার মারিয়ানো নাভোনের মুখোমুখি হবেন ইভান্স।