আজকাল ওয়েবডেস্ক: দুপুরের আড্ডা হোক বা কফির কাপে দীর্ঘ আলাপচারিতা, বান্ধবীর সঙ্গে মনের কথা বলার মজাই আলাদা। কিন্তু প্রিয় বান্ধবীর সঙ্গে গল্পগুজব বা আড্ডা চলাকালীন অনেক সময় আমরা না বুঝেই ব্যক্তিগত বিষয় শেয়ার করে ফেলি। বিশেষ করে স্বামীর সম্পর্কে কিছু কথা, যেগুলি হয়তো আপনি হালকাভাবে বলছেন, কিন্তু তার প্রভাব হতে পারে গভীর। তাই আড্ডার মোড় যখন নিজের ব্যক্তিগত জীবনের দিকে ঘোরে, তখন সাবধান! সব কথা কিন্তু সখীর কানে তোলার জন্য নয়। কিছু কথা পেটে রাখাই বুদ্ধিমানের কাজ, নাহলে সাজানো সংসারে অশান্তির আগুন লাগতে বেশি সময় লাগবে না!
আরও পড়ুন: ‘ধরবে নাকি?’ পুরুষাঙ্গ দেখিয়ে কুপ্রস্তাব দেন প্রযোজক! টাকার বিনিময়ে সঙ্গমও করেন কামসূত্রের নায়িকা?
আরও পড়ুন: ২৬৪৫ লিটার স্তন্য উৎপন্ন হয় বধূর শরীরে! 'রোজ রাতে ৩ ঘণ্টা..' বিপুল দুগ্ধ উৎপাদনের রহস্য ফাঁস করলেন নিজেই
১. বেতনের অঙ্ক ও বিনিয়োগের সাতকাহন: আপনার স্বামী কত টাকা আয় করেন, কোথায় লগ্নি করেন বা তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঠিক কতগুলো শূন্য রয়েছে, এই আলোচনা সযত্নে এড়িয়ে চলুন। এই তথ্য কখন, কীভাবে অন্যের কানে গিয়ে পৌঁছবে এবং তার অপব্যবহার হবে, তা আপনি বুঝতেই পারবেন না। তাছাড়া আজ যিনি আপনার প্রিয় বান্ধবী, কাল তিনিই হয়তো নিজের স্বামীর সঙ্গে তুলনা টেনে আপনাকে হিংসে করতে পারেন।
২. শাশুড়ি-জামাইয়ের ‘কোল্ড ওয়ার’: স্বামীর সঙ্গে বাপের বাড়ির নরম-গরম সম্পর্ক? সেই কথাটি বান্ধবীর কানে তোলার আগে দু’বার ভাবুন। সব সম্পর্কের একটা নিজস্ব সমীকরণ থাকে। উপরে উপরে টক-ঝাল-মিষ্টি একটু এদিক ওদিক হলেও আগে খেয়াল করুন ভিতরে ভিতরে কোনও মনোমালিন্য রয়েছে কিনা। যদি তেমন কিছু না থাকে তাহলে এই কথা বান্ধবীকে বলার আগে সতর্ক হন। পাঁচকান হতে কতক্ষণ? তা ছাড়া কোন কথা কোন পরিস্থিতিতে বলা তা হয়তো বান্ধবী বুঝতেই পারবেন না।
৩. ঘরের ভিতরের খুঁটিনাটি: স্বামীর কোনও শারীরিক সমস্যা, অভ্যাসগত দুর্বলতা, বা মানসিক চাপ, এই সমস্ত ব্যক্তিগত তথ্য বান্ধবীর কাছে ফাঁস করা একেবারেই অনুচিত। এতে স্বামীর সম্মানে আঘাত লাগতে পারে এবং সম্পর্কেও ফাটল ধরতে পারে। আপনার স্বামীর কি আরশোলায় ভয়? বা তিনি কি অন্ধকারে একা শুতে পারেন না? এই ধরনের ব্যক্তিগত দুর্বলতার কথা আড্ডার ছলে বলাটাও কিন্তু ঠিক নয়। আজ যা হাসির খোরাক, কাল সেটাই হয়ে উঠতে পারে তাঁকে খোঁচা দেওয়ার অস্ত্র।
৪. দাম্পত্যের ‘সিক্রেট’ রেসিপি: আপনাদের ব্যক্তিগত সম্পর্কের রসায়ন, একান্ত ব্যক্তিগত মুহূর্তের কথা নিজের মধ্যেই রাখুন। এটি সবচেয়ে সংবেদনশীল ও ব্যক্তিগত একটি দিক। অনেক সময় ঘনিষ্ঠ বান্ধবীর সঙ্গে হাসি-মজার ছলে এই বিষয়গুলো আলোচনায় চলে আসে, কিন্তু তা হতে পারে সম্পর্কের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এটা শুধু স্বামীর গোপনীয়তা ভঙ্গ নয়, নিজের মর্যাদাও খর্ব করে। বান্ধবীর সঙ্গে আলোচনা করতে গিয়ে অজান্তেই যদি নিজেদের সম্পর্কের গোপন বলয়টি নষ্ট করে ফেলেন, তাহলে পরবর্তীকালে ভুল বোঝাবুঝির তৈরি হতে পারে।
আসলে, বন্ধুত্ব আর দাম্পত্য দুটোই জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কিন্তু দুটোর মধ্যে একটা লক্ষ্মণরেখা টানা জরুরি। মনে রাখতে হবে, প্রতিটি দাম্পত্য সম্পর্কে কিছু ব্যক্তিগত দিক থাকে, যেগুলি ‘ব্যক্তিগত’ বলেই বিশেষ। অতিরিক্ত খোলামেলা মনোভাব অনেক সময় সম্পর্কের ভিত নষ্ট করে দিতে পারে।
