আজকাল ওয়েব ডেস্ক: আমের পুষ্টিগুণ নিয়ে ওয়াকিবহাল হলেও আম পাতার স্বাস্থ্যগুণ সম্পর্কে কোনও খবরই রাখে না অনেকই।এমন একটি অত্যন্ত উপকারী পাতা অবহেলার শিকার হয়।

শরীরের অন্যতম শত্রু হল ব্লাড সুগার।তাই রক্তে সুগারের মাত্রাকে বশে রাখে এই পাতা।অ্যান্থোসায়ানিন নামক একটি উপাদান যা রক্তে সুগার বাড়তে দেয় না, রয়েছে আমপাতায়।শুধু তাই নয়, এতে মজুত বিটা টারাক্সেরল এবং ইথাইল অ্যাসিটেট নামক দুটি উপাদানও ব্লাড সুগারকে নিয়ন্ত্রণে রাখার কাজে সিদ্ধহস্ত।তাই সুস্থ থাকতে চাইলে ডায়াবিটিস রোগীরা যত দ্রুত সম্ভব এই পাতার জল খেতে শুরু করুন। কীভাবে খাবেন জেনে নিন।

আম সারা বছর পাওয়া না গেলেও আম গাছের পাতা পাওয়া যায়।এর উপকার পাবেন খুব সহজেই। কয়েকটি নিঁখুত ও টাটকা আমপাতাকে পরিষ্কার করে ধুয়ে নিন।জল ঝরিয়ে নিয়ে কুচি কুচি করে কেটে নিন। গ্লাসে উষ্ণ গরম জল ঢেলে পাতার টুকরোগুলো দিয়ে দিন। আধঘন্টা ভিজিয়ে রাখুন।পাতা তুলে ছেঁকে নিয়ে সেই জল খালি পেটে এক মাস খেলেই নানা ধরনের শারীরিক জটিলতা কেটে যাবে নিমেষেই।

হার্ট অ্যাটাক, কিডনির সমস্যা, স্ট্রোক থেকে শুরু করে একাধিক জটিল অসুখ হয় হাই প্রেশারের কারণে। তাই প্রেশারকে কন্ট্রোল করতে আমপাতার হাইপোটেনসিভ উপাদানই যথেষ্ট।তাই উচ্চ রক্তচাপে ভুক্তভোগীরা নিয়মিত এই পাতাকে ডায়েটে রাখুন।

আমপাতায় রয়েছে ভিটামিন সি, ফাইবার, পেকটিনের মতো উপাদান, যা নানাবিধ শারীরিক সমস্যা দূরে রাখে। তাছাড়া হার্টের বন্ধু এই পাতা।হার্টের রোগের ক্ষেত্রে আমপাতা বেশ উপকারী। কারণ আমপাতায় রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট যা রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। কোলেস্টেরল যাতে না বাড়ে, সে দিকেও খেয়াল রাখে আমপাতা।কোলেস্টেরল এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে বলে হার্টও ভাল থাকে। তাছাড়া বাতের সমস্যায় কচি আমপাতা খুবই উপকারি।কচি আমপাতা জলে ফুটিয়ে প্রতিদিন সেই জল খেলে উপকার পাবেন।