আজকাল ওয়েবডেস্ক: মানুষের কান কেমন দেখতে এই উত্তর হয়তো অনেকেই দিতে পারবেন না। তবে সম্প্রতি একটি গবেষণা থেকে দেখা গিয়েছে মানুষের কান দেখতে একটি প্রাগৈতিহাসিক মাছের ফুলকার মতো। এবিষয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে দেখা গিয়েছে এই মাছের ফুলকার মতোই দেখতে মানুষের কান।


প্রথমদিকে মানুষের কান এমনটা দেখতে ছিল না। তার আকার অন্যরমক ছিল। তবে ধীরে ধীরে বিবর্তনের মধ্যে দিয়ে মানুষের কানের আকারও অন্য ধরণের রূপ নিয়েছে। মানুষের কান বাইরের দিক থেকে একটি স্তন্যপায়ী প্রাণীর মতো দেখতে হলেও ভিতরের দিক থেকে এটি একেবারে মাছের ফুলকার মতো।


প্রাগৈতিহাসিক যুগে কয়েকটি মাছ ছিল যারা বর্তমানে বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে। তাদের মুখের আকার একেবারে ছিল অনেকটা মানুষের কানের মতো। আবার অনেক মাছের ফুলকা দেখতে ছিল মানুষের কারেন মতোই। মাছেদের ফুলকার বেশ কয়েকটি অংশ রয়েছে। সেখান দিয়ে তারা তাদের শ্বাসকাজ চালায়। ঠিক তেমনিভাবে মানুষের কানেরও বেশ কয়েকটি পর্দা রয়েছে যেগুলি পার করে গিয়ে তারপর শব্দ গিয়ে পৌঁছয় মস্তিষ্কে। 

 


বর্তমানে অনেকেই বাড়িতে জেব্রা মাছ পুষে থাকেন। তাদের ফুলকা যদি সঠিকভাবে দেখা যায় তাহলে সেখানেও মানুষের কানের সঙ্গে মিল পাওয়া যাবে। নেচার পত্রিকায় এমনটাই প্রকাশিত হয়েছে। মানুষের কান প্রতিটি যুগে বিবর্তন হয়েছে। সেখান থেকে প্রতি সময়ে কানের আকার পরিবর্তন হয়েছে। ঠিক যেমন মাছের ফুলকার বিবর্তন ঘটেছে। সেখান থেকে দেখতে হলে মানুষের কানের সঙ্গে মাছের ফুলকার বড় একটি মিল রয়েছে।

 


বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, দেহের সব অংশ বিবর্তন ঘটে না। তবে কান হল এমন একটি জায়গা যেখানে বিবর্তন ঘটে। প্রতিটি মানুষের কানের আকার তাই অন্যরকম হয়ে থাকে। জেব্রা মাছ যেভাবে নিজেকে বিবর্তন করে থাকে ঠিক তেমনিভাবে মানুষের কানও বিবর্তিত হয়েছে।  কথায় আছে কান দিয়ে যায় চেনা। তাই ভোজনরসিকরা মনে করছেন মানুষের কানের সঙ্গে মাছের মিল থাকা খুব একটা খারাপ কিছু নয়। কানের ভূমিকা মানুষের দেহে অনেক বেশি। তাই কান যদি মাছের মতো হয় তাহলে খুব একটা খারাপ হবে না।